শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পিঠার উৎসবে উচ্ছ্বাসিত গ্রীনফিল্ড প্রিপারেটরী স্কুলের শিক্ষার্থীর

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

 

মাঘের কুয়াশাছন্ন ভোর সকালে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা কাধে ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয় আসে পাঠদান শিখতে। কিন্তু গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। আজ শিক্ষার্থীদের কাঁধে ছিলো না কোনো ব্যাগ। সবাই নানান সাজে অভিভাবকদের সাথে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এসেছেন পিঠার উৎসবে। নানান আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাটুলির আয়োজন নারায়ণগঞ্জ গ্রীনফিল্ড প্রিপারেটরী স্কুলে করা হয়েছে।

 

শনিবার স্কুল কতৃপক্ষের আয়োজনে এই উৎসবটি হয়। শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে গ্রীনফিল্ড প্রিপারেটরী স্কুলের কর্তৃপক্ষ তার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় এই পিঠা উৎসব। উৎসবে ৫টি পৃথক স্টলে ছিল, খাজ পিঠা, ভাপা পিঠা , পাঠিসাপটা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, নারিকেল পুলি, পুলি, দুধচিতই, মুঠা পিঠা, কেক, পুডিংসহ প্রায় ১৫ রকমের পিঠা।

পিঠাপুলির এ উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের নিয়ে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। আনন্দ উল্লাসে আর হই-হল্লা করে সকালের সময়টা পার করেন সকলে। উৎসবে আনন্দ ভাগ করতে সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট মো. রিজওয়ান আলম রিংকু পাশাপাশি স্কুলের পরিচালক রফিউল আলম রিফাত এবং স্কুলটির অপর পরিচালক এবং প্রধান শিক্ষক আলী আকবর অমি, সহকারী প্রধান শিক্ষক আরিফা আহমেদ এবং স্কুলটির অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা এবং অভিভাবক প্রতিনিধি হৃদয় জামান।

 

এ উৎসবটি নিয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আলী আকবর অমি বলেন, শতিকালে পিঠাপুলির উৎসব বাঙ্গলির ঐতিহ্যবাহী উৎসব। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা প্রতিবেশীদের আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে বাংলাদেশে। মা-বোনদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ যেমনটা মধুর তেমনি মধু মাখা তাদের হাসি মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার। আমরা আমাদের এই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের এই সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর