মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১

প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারী সিরাজ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৪  


 
ফতুল্লায় প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হামলা চালানোর ঘটনার মামলার আসামী সিরাজ মিয়া। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে গত ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের ভূইগড় এলাকায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছোঁড়াসহ হামলাকারীদের তালিকায় আছে তার নাম।

 

 

এরই মধ্যে সেই আন্দোলনে একাধিক গুলিবিদ্ধ হওয়া ইমরুল নামের এক যুবকের ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তার নাম লিপিবদ্ধ করা আছে। এরই মধ্যে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে প্রশাসন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিরা পলাতক থাকলেও কিন্তু কোন এক অজানা কারণে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক করা হচ্ছে না এই আওয়ামী ক্যাডারকে। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

 

 


 
এর আগে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময় গত ১৮ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে আসামীরা ভূইগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ রিভলভার, পিস্তল, কাটা রাইফেল, রমাদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, তলোয়ার, হকিস্টিক দিয়ে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের উপর ঝাপাইয়া পড়ে।

 

 

 

এক পর্যায়ে তারা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায়। এসময় তাদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় আন্দোলনরত ইমরুল আলম নামের এক যুবক। এ সময় তার কপালের ডান পাশে, বুকের ডান ও বাম পাশে, পেট ও রানের ডান পাশে লেগে রক্তাক্ত জখম হন।

 

 

এরকম গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও আসামীরা উন্মাদের মতো ইমরুলকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে এবং কিল-ঘুষি মেরে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। এর পর সেখানে ইমরুলের সঙ্গীগণ তাকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে রঘুনাথপুরে সাহেবপাড়া এলাকার চাঁদের হাসি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ইমরুল।

 

 


 
স্থানীয়দের অভিমত, খুব শীঘ্রই এসব আসামীকে আইনের আওতায় এনে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে যেকোন সময় আবারও বড় ধরণের কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুযোগ খুঁজবে তারা।

 

এই বিভাগের আরো খবর