বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

প্রবাসীর কোটি টাকার জমি দখল নিতে মরিয়া বিএনপি নেতা নজু মাদবর

সাইমুন ইসলাম

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪  

 শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নিজাম,সাজনু ভূইয়া, জাকিরুল আলম হেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিনসহ বহু আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে ছিলো তার সখ্যতা।এই সখ্যতাকে পুঁজি করে বলপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামীলীগের শাসনামলে শত শত পরিবারকে করেছেন নিঃস্ব।তুলনামূলক ত্রুটিপূর্ন জমি নামমাত্র দামে ক্রয় করে বল প্রয়োগ করে তা দখল করে উচ্চদামে বিক্রয় করাই তার প্রধান কাজ বলে জানান কুতুবপুরবাসী। কুতুবপুরের এ কুতুবের নাম নজরুল ইসলাম মাদবর।তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির কোষাধক্ষ্য ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি। তার অপকর্মের ফিরিস্তি অনেক লম্বা।  কেউ তার কথা ব্যাতীত জায়গা জমি ক্রয় বিক্রয় করার সাহস পেত না।উভয় পক্ষ থেকে কমিশন নেওয়াই তার নেশা।


অনুরূপভাবে এবার এক প্রবাসীর জমি দখল নেওয়ার প্রচেষ্টায় মরিয়া এই কথিত বিএনপি নেতা।তথ্য বলছে,প্রবাসী জামিল হাসান ও আওয়াল মুহুরী নামক ব্যাক্তিদ্বয়ের মধ্যো জমি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা চলমান।তবে এর মধ্যো আকস্মিক হস্তক্ষেপ করে বিরোধ মিমাংসার কথা বলে প্রবাসী জামিল হাসান এর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে পুরো জমিতে বলপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়ে তা দখলে নেওয়ার প্রয়াস চালায়। সাইনবোর্ডে মালিক হিসেবে এই নজরুল ইসলাম মাদবরের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলামকে মাদবরকে জায়গার মালিক উল্লেখ করে সেখানে নজু মাদবর তার নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে দেন।


এভাবে বলপূর্বক বহু মানুষের জমি বলপূর্বল দখল করা,ক্রয় বিক্রয় বাবদ চাঁদাবাজী এই মাদবরের নিত্য দিনের কাজ। শুধু জায়গা জমি নিয়ে জালিয়তি করেই ক্ষান্ত নন এই মাদবর। দেশবাসীর ক্ষোভের বিস্ফোরনে বিগত সরকার পতনের পর থানায় বিভিন্ন হত্যা মামলা দায়ের করে আওয়ামী নেতাদের কাছ থেকে করেছেন চাঁদাবাজী।


এ নিয়ে স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, কুতুবপুরে প্রকৃত বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনো অবহেলিত।অথচ নজরুল ইসলাম মাদবর আওয়ামীলীগের শাসনামলে শামীম ওসমানের ক্যাডারদের সাথে মিলেমিশে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।অথচ সরকার পতনের পর সেই নজরুল ইসলাম মাদবর পূনরায় সেই রাজত্ব কায়েমের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।শামীম ওসমানের ক্যাডারদের অনুপস্থিতিতে তাদের সাম্্রাজ্য দেখভাল করছেন এই বিএনপি নেতা। তারা বলছেন যে ব্যাক্তি ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী ক্যাডারদের সাথে মিলেমিশে অপকর্ম করে বেরিয়েছে।সেই একই ব্যাক্তি কিভাবে আবার বিএনপির পদ পদবীতে থেকে সেই একই কাজ চালিয়ে যেতে পারে। তার বিরুদ্ধে সংগঠন কর্তৃক তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে না পারলে এই কুতুবের কারনে দলের বদনাম হবে বলে জানান স্থানীয় বিএনপিপ্রেমীরা। শুধু সংগঠন কর্তৃকই নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্লেষন করে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই বিভাগের আরো খবর