রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৮ ১৪৩১

প্রশাসনের নজরদারিতে যুবদল নেতা সাদেক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক। সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নানা কুকর্মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাদেককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পান কোনরকম। সাদেক হলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের একনিষ্ঠ কর্মী।

 

গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ জুড়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হিসেবে জাহির করা আজাদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় তার সমর্থকরা চাঁদাবাজি দখল নানা রকম অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়। মূলত, তারই অংশ হিসেবে সাদেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা দখলের অভিযোগ বা কোন প্রকার অপরাধের সাথে লিপ্ত থাকার কারণেই প্রশাসন এই বিএনপি নেতাকে চোখে চোখে রাখছে।

 

স্থানীয়দের মতে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে সাদেকুর রহমান সাদেকের বাড়িতে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে তাকে কয়েকঘন্টার জন্য আটক করে নিয়ে গেলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এলাকাবাসীর দাবি ৫আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সাদেকুর রহমান সাদেক কাশিপুর ইউপির বাসিন্দা হওয়ায় কাশিপুরের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার সমর্থকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণের পায়তারা করেছেন। 

 

তারই অংশ হিসেবে তার একনিষ্ঠ কর্মী ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক নেতা ওরফে খেপা ইকবালের নেতৃত্বে কাশিপুরে খিল মার্কেট এলাকার বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামাজিক বিভিন্ন কমিটির সভাপতি হয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রীত ব্যবসার মধ্যে ডিস, ইন্টারনেট, ইট, বালু, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। 

 

মূলত, এই সাদেকের শেল্টারেই এই ইকবাল বেপোড়োয়া হয়ে খিল মার্কেট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। অপরদিকে সাদেকও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হওয়ার সুবাদে এবং তার পৈতিক ভিটা আড়াইহাজার হওয়াতে আড়াইহাজারে বিএনপির রাহুগ্রাস খ্যাত আজাদের রাজনীতি করায় তার শেল্টারে আড়াইহাজার টু কাশিপুর এলাকায় নানা রকম অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে আছেন। অভিযানের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে তারা আবার ছেড়ে দেন।

এই বিভাগের আরো খবর