রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ফতুল্লায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩  

 

# মশক নিধনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এসব ইউনিয়নে ঘরে ঘরে আতঙ্ক

 

 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরেছে ডেঙ্গু। এরই মাঝে প্রতি মহল্লায় বহু লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং এখনো অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশেষ করে ফতুল্লা থানার চারটি ইউনিয়ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে এডিস মশার বিস্তার ঘটেছে।

 

এসব ইউনিয়নে মশক নিধনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় সারা বছরই মশার উৎপাত সহ্য করতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ফতুল্লার চারটি ইউনিয়ন হলো কাশীপুর, এনায়েতনগর, ফতুল্লা এবং কুতুবপুর।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এস ইউনিয়ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চেয়েও বেশি লোক বাস করেন। কারন এলাকাটি হলো একটি শিল্প এলাকা। ফতুল্লার এই চার ইউনিয়নে রয়েছে হাজার হাজার কলকারখানা। অত্র এলাকায় অন্তত দশ লাখ শ্রমিকের বাস। বহুকাল ধরে ফতুল্লা একটি শহর এলাকা হলেও অত্র এলাকাকে গ্রামের মর্যাদায় রাখা হয়েছে।

 

বিগত দশ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী চাইছেন ফতুল্লার এসব ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করতে।

 

কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং তার অনুসারী চেয়ারম্যান মেম্বাররা। মূলত শামীম ওসমানের বাধার কারনেই ফতুল্লা থানা এলাকাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় নিতে পারেননি মেয়র আইভী।

 

যার ফলে ফতুল্লার এসব ইউনিয়নে কখনো মশক নিধন করা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদগুলিতে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছেন সরকার ইউনিয়ন এলাকা হওয়ায় মশক নিধনের জন্য কোনো বাজেট দেয় না এবং মশক নিধনের জন্য কোনো লোকবলও নেই।

 

যার ফলে সারা বছর এসব এলাকায় মশার উৎপাত লেগেই থাকে। এলাকায় মশক নিধনের কোনো ব্যাবস্থা না থাকায় এবার ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ডেঙ্গু। গোটা ফতুল্লা জুরে এরই মাঝে বহু লোক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দিনে দিনে ফতুল্লার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এতে অত্র এলাকায় মহামারির আকার ধরণ করেছে ডেঙ্গু রোগ।

 

ফলে পাড়া মহল্লায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার মধ্য দিয়ে একটি শহর এলাকা হওয়া সত্যেও সিটি করপোরেশনের আওতায় যেতে না দেয়ার কুফল ভোগ করছেন ফতুল্লার সাধারণ মানুষ। এস.এ/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর