শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

ফায়ার এলার্মের একটা ঘন্টায় ঈদ আনন্দ শেষ : আব্দুল্লাহ আল আরেফিন

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে সেবার কাজ করছেন। প্লেটে খাবার রেখেও দৌঁড়ে ছুটে আসেন মানুষের জীবন বাঁচাতে। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। ঘরে ঘরে, পথে পথে ছড়িয়ে পড়ে এই আনন্দ। তবে প্রতেকের পরিবার ও প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ঈদের আনন্দ ভুলে সর্বদা তৎপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এমনভাবেই ফায়ার সার্ভিসে ২৪ ঘন্টা সেবা দিতে প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো.আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। তিনি কথা বলেছেন যুগের চিন্তা ২৪ এর ঈদ আড্ডায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন  নুসরাত জাহান সুপ্তি। 

 

ঈদে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ আল আরেফিন: ঈদের কোন পরিকল্পনা কখনোই করতে পারি না। সব সময়েই এই চিন্তায় থাকি কখন যেন দুর্ঘটনার কোন খবর চলে আসে। এখন এই পেশায় থেকে মনে হয় মানুষের জীবনের নিরাপত্তাতেই আমাদের ঈদ আনন্দ। 

 

ঈদে কেনাকাটা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ঈদে কেনাকাটা করতে আমি সবসময়ই অপছন্দ করি। এর দায়িত্ব সবসময়েই আমার ঘরের মানুষের উপর দিয়ে দিছি।

 

ছোটবেলার ঈদ আনন্দের স্মৃতিচারণ করে আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, রোজার শুরু থেকেই শুরু হয়ে যেত। স্কুলে ঈদের ছুটি কবে পাবো সেই অপেক্ষায় থাকতাম। ঈদের চাঁদ দেখার মাঝে ছিল ব্যাপক আনন্দ। ঈদে সেলামি পাওয়ার যে আনন্দ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বয়স হওয়ার সাথে সাথে আনন্দেও মাঝেও পার্থক্য চলে আসছে।

 

ঈদের দিন গুলো সাধারণ ভাবেই কাটে বলে জানান আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। তিনি বলেন, এখন ঈদ আনন্দ বলতে কিছু নাই। ফায়ার এলার্মের একটা ঘন্টায় ঈদ আনন্দ শেষ। খেতে বসলেও খবর পেতেই সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া শুরু হয়ে যায়। অধিক প্রয়োজন হলে প্রায় সময়ই নিজেকেও স্পটে ছুটে যেতে হয়। তবে সবসময় পারিবারিক সাপোর্ট খুব পাই। আমাদের খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রেডি হয়ে বের হতে হয়। বাসায় থাকলে আমার স্ত্রী দ্রƒত বের হতে সাহায্য করে। কখনো পোশাকটা দ্রুত বের করে দেয় আবার কখনো দরজা আগে খুলে রাখে যেন আমি সময়মত বের হতে পারি। 

 

ঈদে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ছুটির প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, যেহেতু ঈদের ছুটি বলে কথা। ঈদে কাজ থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ছুটি দিতে হয়। আমাদের ফায়ার সার্ভিসে সদস্য সংখ্যা অনেক কম। ৩০ জন ফায়ারম্যান। ঈদে দুর্ঘটনার  সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। তাই ঈদে ৬ জনের বেশি ফায়ারম্যানকে ছুটি দেয়া সম্ভব না। ঈদের পরে সময়ে সময়ে ছুটি দেই। 

 

ঈদে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে  নিরাপত্তার বিষয়ে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে  আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ঈদে সকল যানবাহন স্টান্ডে আমরা সতর্কবানী  লাগিয়ে দিয়েছি। আর যাত্রীদের ও ড্রাইভারদের নিরাপত্তার জন্য সতর্ক হতে উৎসাহিত করছি।

 

শুভানুধ্যায়ীদের  অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্দুল আল আরেফিন বলেন, সবার ঈদ কাটুক নির্মল আনন্দে, সবাই নিরাপদে ঈদ উদযাপন করুক এই কামনা করি। 

এই বিভাগের আরো খবর