রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ফুটপাত দখল করে জনপ্রতিনিধির ইফতার বিক্রি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৩  


# জনপ্রতিনিধির এমন কর্মকান্ড মেনে নিতে পারছে না সাধারন জনগণ
 

নারায়ণগঞ্জ শহরে পথচারীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। তাদের বাসা থেকে বেড় হলেই নানা দূর্ভোগের মধ্যে দিয়েই জীবন-যাপন পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে চলছে মুসলিম উম্মাদের সংযর্মের মাস পবিত্র মাহে রমজান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর জনগনকে স্বস্তি দিতে রমজান মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

 

 

কিন্তু তারপরও ফুটপাত দখল করে রেখেছে নারায়ণগঞ্জের স্বনামধন্য কিছু হোটেল মালিকেরা। এতে করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ বলছে কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। কারণ কেউই এ শহরকে ভালোবাসে না। ডাক ঢোল পিটিয়ে যেভাবে শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার কথা ছিল প্রশাসনের কিন্তু তারা  বর্তমানে একপ্রকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

 

 

তাদের কথা বর্তমানে আলাদা রেখে সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনপ্রতিনিধি জনাব মনিরুজ্জামানের নিজস্ব রেন্টুরেন্ট নগরীর ২ নং রেল গেইটে অবস্থিত মনির রেস্তোরা। নিয়মিতই এই জনপ্রতিনিধির রেস্টেুরেন্টে দেখা মিলে দুপুর ২টা থেকেই ফুটপাতের উপরে টেবিল বসিয়ে জনসাধারনকে দূর্ভোগে ফেলে। প্রায় ১০ রমজান যাবৎই ইফতার বিক্রি করে যাচ্ছে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধুর সড়কের ফুটপাত দখল করে প্যান্ডেল বানিয়ে ইফতার বিক্রি করছে। নারায়ণগঞ্জের স্বনামধন্য খাবার হোটেল গুলো। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে ২নং রেলগেইটে সংলগ্ন জনপ্রতিনিধি মনিরুজ্জামানের স্বনামধন্য খাবার হোটেল মনির রেস্তারা। এতে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

 

 

যার ফলে জনসাধারণ বাধ্য হয়ে ফুটপাত দিয়ে না চলাচল করে, ব্যবহার করছে মূল সড়ক। অপর দিকে মনির হোটেলের আরেক পাশেও ফুটপাত দখল করে রেখেছে ছোট ছোট টংয়ের দোকান বসিয়ে দোকানদাররা। তার জন্য রাস্তা প্রায় অনেকটাই সংক্রীর্ণ তার মাঝে মনির হোটেলের এই কর্মকান্ড মানুষের চলাচলে তাদেরকে অনেকটাই অস্বিস্তিতে ফেলছে।

 

 

নিয়মিত চলাচলকৃত পথচারীরা বলছেন, প্রতি বছরের রমজানে ফুটপাত দখল করে এই জনপ্রতিনিধি মনিরুজ্জামানের রমরমা ইফতার ব্যবসা অবহৃত থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ও পথচারীদের চলাচল দূর্ভোগে ফেলে তিনি তার ব্যবসা অবহৃত রখেছে। এগুলো কেউ দেখবেনা আর কারো চোখেও পরবে না। তারা তো রাস্তার মধ্যেই সব কিছু করছে। কখন যে কার ওপর গরম তেল পড়ে তা কেউই বলতে পারেনা।

 

 

আর তিনি একজন জনপ্রতিনিধি ও জেলা হোটেল রেস্টেুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি তাই কার কাজ অনুযায়ী সকল রেস্টেুরেন্ট মালিক যেন কোন প্রকার অনিয়ম না করে সে দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কিন্তু তা না করে তিনিই তার রেস্টেুরেন্টে অনিয়ম ব্যবস্থা স্থাপন করে পথচারীদের দূর্ভোগে ফেলছে। যা মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। তাই সকলে দাবি করছে যার হাতে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করার কথা ছিল। তিনিই যদি এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত থাকে তাহলে অন্যরাতো আরো বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।

 

 

এ বিষয়ে মনির রেস্তোরার মালিক ও জেলা হোটেল রেস্টেুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির যুগের চিন্তাকে বলেন, রেস্টেুরেন্টের ইফতার তো ফুটপাতেই টেবিল বসিয়ে বিক্রি করা হয়। তা ছাড়াতো বিকল্প কোন রাস্তা নেই। আর আমরা রেস্টেুরেন্ট মালিকরা এই একটা মাসই বেচা-কেনা করি। কিন্তু আমর বর্তমানে ফুটপাত দখল করে কোন ইফতার বিক্রি করছি না। আমরা দোকান থেকে একটু বেড় করে ইফতার বিক্রি করে যাচ্ছি। আর কেউ যদি পুরো ফুটপাত দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে ইফতার বিক্রি করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর