বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বন্যা দুর্দশায় বেপরোয়া সুযোগসন্ধানীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৪  


বেশ কয়েকদিনের বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ মোট ১১টি জেলার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। এমনবস্থায় বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ভিবিন্ন জায়গার সাধারণ মানুষেরা বা বিভিন্ন ধরনের সংগঠন,শিক্ষার্থীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোতে ছুটছেন ত্রান নিয়ে। ফলে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের বেচাবিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ সুযোগে কয়েকটি পণ্যের দামও বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

 


জানা যায়, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য গত তিন দিন ধরে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, মোমবাতি, ম্যাচ, ওরস্যালাইন, বোতলজাত পানি, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি চিড়ার দাম পাইকারি পর্যায়ে ৭০ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে। মুড়ির দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ টাকা। এক ডজন মোমবাতির দাম ২০ টাকার বেশি বেড়েছে। তারপরও অধিকাংশ দোকানে পণ্যটি মিলছে না।

 


প্রায় কয়েকদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় পাইকারি দিগুবাবুর বাজারে ও কালিবাজারে বন্যার্তদের সহায়তায় শুকনা খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিভিন্ন স্বেচ্ছানেবক সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দল করে আসছে। কেউবা পণ্য কিনে মিশুক, ভ্যান বা পিকআপে তুলে নিয়ে যাচ্ছে তো কেউবা পণ্য কিনতে আসছে। এমন অবস্থা গত কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত চলে আসছে।

 


গতকাল নিতাইগঞ্জের পাইকারি দোকান গুলোতে দেখা যায় চিড়া মুড়ির দোকানে বেশ ভীড়। ২৫ কেজির প্রতি বস্তা চিড়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭৫০ টাকা পযর্ন্ত। আর মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ২৫ কেজির প্রতি বস্তা ১৪০০-১৫০০ টাকা বস্তা। পাশাপাশি দিগুবাবুর বাজারে বিস্কুট, ওরস্যালাইন, মোমবাতি, ম্যাচ ইত্যাদি পণ্য কিনতে কমবেশি প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। যদিও অধিকাংশ দোকানি মোমবাতি সংঙ্কট।

 

 

এই সুযোগে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন মোমবাতি। যেখানে গত সপ্তাগে ও মোমবাতির ডজন বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা। সেখানে গত ২-৩ দিন ধরে ৯০ টাকা দিয়ে মোমবাতি মিলছে না। অন্যদিকে কালিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, লাইফ জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। যেখানে আগে তা বিক্রি হতো ৩০০ টাকায়।

 


বিক্রেতারা বলছেন, তিন দিন ধরে ক্রেতাদের চাপ বেশি। বন্যার কারনে চিড়া, মুড়ি , মোমবাতি এসবের চাহিদা বেড়ে গেছে। গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে সব চিড়া-মুড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাই মোকাম থেকে বাড়ি দামে বিক্রি করছে। আর চাহিদা থাকার কারনে আমরাও কিনে বাড়তে দাম দিয়ে কিনে আনছি। পাশাপাশি গাড়ি ভাড়া ও আছে। তিনি আরও বলেন, মোমবাতি খুবই স্নো আইটেম (কম বিক্রীত পণ্য)। তাই অধিকাংশ দোকানে নেই।

 


মঈনুল আলী নিতাইগঞ্জের এক সমাজকর্মী বলেন, যেখানে সারাদিন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলো রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ মানুষদের থেকে চেয়ে চেয়ে টাকার যোগার করেন। সেখানে বাজারের ব্যবসায়ীরা এদের এসব কষ্টগুলো দেখছে না। তারা আরো সুয়োগে সৎ ব্যবহার করছে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। বাড়ি থেকে টাকা অনুযায়ী পন্যের হিসাব করে আসছি এক, বাজারে এসে পন্যের সংখ্যা হয়ে যাচ্ছে আরেক। প্রশাসনের উচিত এমনবস্থা বাজারটাকে কঠোরভাবে মনিটরিং করার। যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটে নিতে না পারে।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর