রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বাজার-হসপিটালের ডাবের দামে কেন এতো তারতম্য

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৪  


এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে অন্যান্য ফলের তুলনায় ডাবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বেশিরভাগ রোগীদের  শীত, বর্ষা, গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই  এটি খাওয়ানো হয়ে থাকে। যেহেতু স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলোর মধ্যে ডাবের পানি অন্যতম ধরা হয়। দেখা যায় বৃষ্টির দিনে ডাবের চাহিদা কম-বেশি থাকে এবং গরমে বেড়ে যায়। তাই এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে নিজ ইচ্ছেমতো ডাবের দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।

 

 

বাজারে গিয়ে একরকম আর হসপিটালের গেটের সামনে আরেক দৃশ্য। প্রতিটি ডাবে ২০-৩০ টাকার মতো লাভ করতে দেখা গেছে হসপিটালের সামনে থাকা বিেেক্রতাদের। দেখা যায় রোগী ও স্বজনরা বাধ্য হয়ে নিজের প্রয়োজন মিটাতে এই বাড়তি দামেই কিনছেন ডাব। বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ কম, খরচ বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  

 

 

সেখানে ছোট সাইজের প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে এবং বড় আকৃতির ডাব ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে বাজারে এসব ডাব বিক্রি হচ্ছে ছোটগুলো ৮০-১০০ টাকায় ও বড়গুলো ১২০ টাকা দরে।

 


রোগীর জন্য ডাব কিনতে আসা এক স্বজন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আমার মেয়ে ভর্তি , ওর জন্য ডাব কিনতে এসেছি । ভেবেছি এতো দুর বাজারে না গিয়ে হসপিটালের সামনেই যখন এগুলো বিক্রি হচ্ছে এখান থেকেই কিনি। এখান থেকে একটা মাঝারি সাইজের ডাব কিনেছি দাম ১৩০ টাকা , বাজারে গেলে হয়তো এটা ৮০-১০০ টাকার মধ্যেই কেনা যেতো। কি করবো জরুরি প্রয়োজনের সময় বাধ্য হয়ে একটু বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।

 


সেখানে বিক্রেতারা বলেন, আমরা কমদাম কিনতে পারলে ক্রেতাদের কাছেও কমেই বিক্রি করবো। তবে এই সময়টাতে ডাব এমনিতেই পাওয়া যায়না ।আর দাম বাড়িয়ে আমাদেরও তেমন বেশি লাভ হয় তেমন না, আমাদেরও তো আনা-নেওয়ার একটা খরচ আছে। তবে হসপিটালের সামনে সবসময় চাহিদা থাকে তাই কিছুটা দামে বিক্রি করা হয়।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি