রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বাদশা-রফিক প্রচারণায় ব্যস্ত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৪  

 

 

সদ্য সারাদেশে এক উপজেলা নির্বাচনের সকল ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই র্নিবাচন ঘিরে মেয়র প্রার্থীরা প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।একই সাথে এই নির্বাচন রুপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা এলাকার মানুষের ভোটারদের মাঝে আমেজ তৈরী হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে মেয়র প্রার্থীরা

 

 একে অপরকে দোষরপ করে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগের মাঝেই নিজেদের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রচরনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সাথে একে অপরকে নিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও তুলেছেন।  

 

এদিকে নির্বাচন কমিশন সুত্রমতে, আগামী ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। এমনকি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হলে তার দায় প্রশাসন নিবে না। প্রয়োজনে যারা নির্বাচন করতে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইবে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।

 

জানাযায়, রুপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচনে দুজন মেয়র প্রার্থী মাঠে লড়াইয়ে নেমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। তার মাঝে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থন নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা মোবাইল মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

 

তিনি সাবেক কাঞ্চন পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন। একই ভাবে এখানকার বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম জগ মার্কা নিয়ে ভোটার কাছে যাচ্ছেন। মেয়র প্রার্থী বাদশা পুনরায় কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রের চেয়ার দখল করতে মরিয়া হয়ে মাঠে লড়াই করে যাচ্ছেন। তার বিপক্ষ মেয়র  প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে কোন ত্রুটি রাখছেন না।

 

অপরদিকে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র প্রার্থী রফিকের বিরুদ্ধে সহ তার ভাই শফিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ভোটের মাঠে পার হতে চাচ্ছেন। তারই শফিক সব সময় গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে চলে। আর এজন্য সন্ধার পরে আমার লোকজন তার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারে না। তাছাড়া তাড়া ভোটারদেরভ য় দেখিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাদের সাথে সব সময় সন্ত্রাসী বাহিনী থাকে। আমি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই। 

 

এর আগে ১০ জুন প্রতীক আনতে গিয়ে এই দুই মেয়র প্রার্থীদের মাঝে তুচ্ছা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়া ছুড়ি হয়। এতে করে রুপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থীকে শোকজ করেছে কাঞ্চন পৌসভার নির্বাচনের রিটার্নি কর্মকর্তা। তাদের এই প্রভাব বিস্তার নিয়ে সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

এর আগে ১১ জুন কাঞ্চন পৌরসভার সকল প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার সহ মেয়র প্রার্থী রফিকের লোকজনদের হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলা হয় জেলা প্রশাসকের নিকট।

 

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ তুলে বলেন, আমার সমর্থকের পোষ্টার টানাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। একই সাথে আমার নির্বাচনের ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তার নির্বাচননী প্রচারনায় যারা কাজ করছে তাদেরকে হুমিক দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দি বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া ভোট কেনার জন্য অর্থের ছড়াছরি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলা হয়।

 

তাদের হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসক মাহদুল হক বলেন,কোন অনিয়ম পেলে যে প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তা বাতিল করা হবে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কি না তা নিয়ে কোন চিন্তা করার কারন নেই। আমি প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করবো আপনারা নিজেরা শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে প্রচারনা চালাবেন। সেই সাথে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। উল্লেখ্য আগামী ২৬ জুন সকাল ৮ টা থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরো খবর