বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আজহা। শান্তি, সৌর্হাদ্য আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এ উৎসব। ঈদে সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার দিন। ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করা মুসলমানদের অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য। 

ঈদুল আজহা উদযাপন নিয়ে যুগের চিন্তা ২৪’কে  দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিছু কথা বলেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান-১১ (র‌্যাব) এর এএসপি আলেপ উদ্দীন । সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শামীমা রীতা।

এবারের ঈদুল আজহা পরিবারের সকলের সাথে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন বলে জানান র‌্যাবের এই চৌকুস কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গ্রামেই ঈদ কাটাবো এবার। কোরবানির গরু কিনতে ইতিমধ্যে হাটগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছি, দরদাম করছি। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে সামর্থ্যরে মাঝেই পছন্দের গরুটি কিনে ফেলতে পারবো। 

ঈদের সারাদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাবে বলে জানান আলেপ উদ্দীন । তিনি বলেন,  কোরবানি ঈদ মানেই একরাশ ব্যস্ততা। ঈদের জামাআত শেষ হতেই শুরু হবে গরু কাটাকাটি, মাংস আনা-নেয়া, বন্টন, বিতরণ। 

সবমিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটবে। এছাড়া আমার সৌভাগ্য গ্রামের বাড়িতে আসলেই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামের সকলে আসেন দেখা সাক্ষাৎ করতে। আর আমিও এটি বেশ উপভোগ করি। 

কোরবানির গরু কিনতে হাটে যাওযার শৈশবের স্মৃতিচারণ করে এএসপি আলেপ উদ্দীন বলেন, ছোটবেলায় বাবা-চাচা, বড় ভাইয়েদের সাথে গরু কিনতে যেতাম। কিন্তু এখন বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই নিজেই এখন অভিভাবক। তাই আমিই প্রতিবার হাটে গিয়ে গরু কিনি। 

তবে আগের মত সেই আনন্দটা এখন আর খুঁজে পাই না। আগে ঈদ কবে আসবে, কবে গরু কিনবো এগুলো চিন্তা করে অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। কিন্তু এখন আর অমনটা মনে হয় না। এখন অনেকটা ঈদ করার জন্যই করা হয় । তবে ছেলেমেয়েদের আনন্দ দেখলে ছোটবেলার কথা বেশ মনে পড়ে যায়।

ঈদে গরুর মাংসের প্রিয় রেসিপি সম্পর্কে তিনি জানান, মায়ের হাতের রান্না করা গরুর মাংসের রেজালা আমার খেতে খুব পছন্দ। বাড়িতে ঈদে আসার সুযোগ হলে মায়ের হাতের  গরুর মাংসের রেজালা আমি খুব তৃপ্তি করে খাই। আসলে কী, মায়ের হাতের রান্নার তুলনা হয়না!

ঈদুল আজহার কোরবানি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়  সম্পর্কে এএসপি আলেপ উদ্দীন বলেন, কোরবানির ঈদ মানেই হল ত্যাগ। শুধু কোরবানি দিয়েই নয়, কোরবানি ঈদের যে শিক্ষাকে অনুসরণ করে নিজেদের মনে কালিমা, সকল মন্দকে পরিহার করতে হবে। তাহলেই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা ও তাৎপর্য  পূরণ হবে। এবং সেই সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে।

ঈদুল আজহায় সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে  র‌্যাব-১১ এর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যথাযথ ধর্মীয় গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে সবার মাঝে সহমর্মিতা তৈরী হোক এবং সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করুক। সবাইকে ঈদ মোবারক।’
 

এই বিভাগের আরো খবর