বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান সাউদ
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২২
একাত্তরে ডিসেম্বর মাসে আমরা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরার জন্য এই বিজয়ের মাসে ‘দৈনিক যুগের চিন্তা’য় একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশনের কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে। আজ ছাপা হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান সাউদের লেখা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে তার অনুপ্রেরণা পাওয়ার কাহিনী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান সাউদ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন আমাদের প্রজন্মের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের যে সুযোগ আমরা পেয়েছি তা নিয়ে আমরা যেভাবে গৌরব বোধ করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও একইভাবেই গৌরব বহন করে এগিয়ে যাবে। ১৯৭১ সালে আমি ছিলাম গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। স্কুলে পড়ার সময়ই আমি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলাম। এছাড়াও আমি জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলাম। এসব সংগঠন করার মধ্য দিয়ে আমাদের এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আমার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আমাকে সম্পৃক্ত করতেন। আমার বাবা-মা আমাকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার ব্যাপারে কখনোই কোন বাধা দেননি। ফলে আমার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতার পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতাও গড়ে উঠেছিল। স্বাধীনতার এত বছর পরও একটি কথা মনে হলে অত্যন্ত গৌরববোধ করি, তা হলো আমার বাবা-মা আমাকে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ভারতে চলে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আজ আমার বাবা-মা বেঁচে নেই কিন্তু তাদের সেই নির্দেশনা মনে হলে এখনো বাবা মার জন্য আবেগে চোখে পানি চলে আসে।
সেদিন বাবা-মা আমাকে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ভারতে চলে গেছে। তুইও যা। এখানে থাকলে পাকিস্তানিরা মেরে ফেলতে পারে। মরবি যখন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই মর। বাবা-মা’র সেই নির্দেশনা আমার মধ্যে প্রবলভাবে কাজ করেছিল। এরপর আমি অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের আগরতলায় চলে যাওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকি। এর কিছুদিন আগে আমাদের এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ভাই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য আগরতলা চলে গিয়েছিলেন। তারা আগরতলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার এলাকায় ফিরে এসে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
একদিন আমি দেখি আমাদের বাড়ির কাছ দিয়ে আমাদের সিনিয়র ছাত্রনেতা মতিন ভাই যাচ্ছেন। আমি তখন জানতে পারি যে তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফিরে এসেছেন। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আমি বাড়িতে যাচ্ছি, তুই আমার সঙ্গে চল। এলাকার পরিস্থিতি তখন অত্যন্ত খারাপ ছিল। সবখানে এক ধরনের থমথমে এবং ভয়ার্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আমি মতিন ভাইকে সঙ্গ দিয়ে আমাদের বাড়ি ও সাউদ পাড়ার ভিতর দিয়ে গোপনে তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী সড়কের পশ্চিম পাশে তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসি। মতিন ভাইয়ের বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় আমার মনে প্রশ্ন জাগলো যে, মতিন ভাই এবং আরো অনেকে ভারত দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে এসেছে, আমি কেন যেতে দেরি করছি?
এর দুই-এক দিন পর জালকুড়ি গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন (লম্বা শফি ) ভাই আমাদের বাড়িতে আসে। তখন তার সাথে অস্ত্রশস্ত্রও ছিল। তিনি আমার সাথে দেখা হলে আমাকে বলে, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এখানে বসে না থেকে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে। তুই আমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে চল। এর আগেই আমার চাচাতো ভাই সহিদুল্লাহ সাউদ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য আগরতলা চলে গিয়েছিল। এরপরই একদিন আরো কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে ভারত যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি। তখন ভূইয়াপাড়ার আয়াত আলী গাজী ও মহিউদ্দিন আহমেদ (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা), মীরপাড়ার সিরাজুল হক, মীর আনোয়ার, আওলাদ এবং জালকুড়ির মোহাম্মদ আলী মাস্টার- এই কয়েকজন মিলে এক সঙ্গে ভারত চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করি।
একদিন সকালে আমরা দলবদ্ধ হয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। শীতলক্ষ্যা নদী পেরিয়ে লক্ষ্মণখোলা, লাঙ্গলবন্দ হয়ে আমরা বৈদ্যের বাজার লঞ্চঘাটে পৌঁছি। লক্ষণখোলা থেকে বৈদ্যেরবাজার পর্যন্ত পুরো পথটি আমাদের কখনো হেঁটে, কখনো নৌকায় চড়ে যেতে হয়েছে। কারণ মেইন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। পাকিস্তান বাহিনী সারাক্ষণই টহল দিয়ে বেড়াতো। আমাদেরকে যেতে হয়েছে গ্রামের পথ দিয়ে হেটে। বৈদ্যের বাজার থেকে লঞ্চে চড়ে কুমিল্লা জেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে নামি। আমরা রামকৃষ্ণপুর পৌঁছে দেখি সেখানে আরো অনেক লোক ভারতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
আমাদের মধ্যে আয়ত আলী গাজী এবং মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন অত্যন্ত সাহসী। পথে অনেক বিপদে পড়েছি কিন্তু তাদের দুজনের সাহসের কারণে আমরা থেমে থাকিনি। এগিয়ে গেছি আগরতলার দিকে। রামচন্দ্রপুর থেকে হেঁটে আগরতলা দিকে যাওয়ার সময় গ্রামের ভিতর দিয়ে যখন হেঁটে যাই তখন অনেক মানুষের ভালোবাসা আমরা পেয়েছি, অনেকে তাদের বাড়িতে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে, রাতে থাকতে দিয়েছে এবং খাওয়া দাওয়াও করিয়েছে। এভাবেই আমরা প্রায় তিন দিন পর আগরতলা সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছি। আগরতলা যাওয়ার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়ক পেরোতে হয়। সেই সড়কটি ছিল অত্যন্ত বিপদজনক। পাকিস্তানি বাহিনী জানত এই সড়ক পার হয়ে লোকজন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে আগরতলা যায়। এজন্য তারা এই কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ধরে ঘন ঘন টহল দিত গাড়িতে চড়ে। টহল দেয়ার সময় কোন লোক সামনে পড়লে সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলতো। এভাবে অনেক লোককে তারা গুলি করে মেরেছে। ফলে যারাই এই সড়ক পার হয়ে যেতো, তারা অত্যন্ত সাবধানে অপেক্ষা করে লুকিয়ে রাতের অন্ধকারে পার হতো।
আমরা ত্রিপুরা সীমান্তে যাওয়ার আগে এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর সেই বাড়ির মালিক আমাদেরকে আগরতলা কিভাবে যেতে হবে তার পথ নির্দেশনা জানিয়ে দেয়। কিন্তু রাস্তা ধরে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। আমরা কয়েকটি গামলা এলাকা থেকে জোগাড় করি, সেই গামলায় আমাদের কাপড়-চোপড় ও ব্যাগ রেখে, বিলের পাট ক্ষেত, ধান ক্ষেতের মাঝ দিয়ে, কখনো হাটু সমান, কখনো বুক সমান পানির মধ্যদিয়ে হেটে যাই। তখন বর্ষাকাল ছিল, অঝোরধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। বিলের মাঝ দিয়ে পানি পেরিয়ে আমরা প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পথ হেঁটে তারপর কুমিল্লা-ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া (সিএন্ডবি)সড়কের পাশে যাই। বৃষ্টিতে আমরা সবাই ভিজে কাতর হয়ে গিয়েছিলাম।
আমরা সিএন্ডবি সড়ক পার হওয়ার জন্য বেশ কিছু দূরে ক্ষেতের ফসলের ভিতর বসে লুকিয়ে থাকি। দূর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোন গাড়ি দেখা না যাওয়ায় এলাকার দালাল আমাদের দ্রুত সিএন্ডবি রাস্তা পেরিয়ে পূর্বপাশে চলে যেতে সংকেত দেয়। সড়ক পেরিয়ে আমরা কিছুটা স্বস্তি পাই। সেখান থেকে আবার বিলের মধ্যদিয়ে কিছুদূর হেঁটে আমরা কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইনে উঠি। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি পাকিস্তানি বাহিনীকে কোথাও দেখা যায় কিনা। যখন নিশ্চিত হই যে আশপাশে পাকিস্তান বাহিনী নেই, তখনই আমরা রেললাইনটা পেরিয়ে পূর্ব দিকে ত্রিপুরার কাছাকাছি চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর কয়েকজন লোক হঠাৎ আমাদের সামনে এসে অস্ত্র উচিয়ে আমাদেরকে থামতে বলে।
আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, তারা পাকিস্তানি গুপ্তচর বা রাজাকার কিনা ভেবে। তারা আমাদের প্রশ্ন করতে থাকে, আপনারা কারা, কোত্থেকে এসেছেন? মহিউদ্দিন আহমেদ আলী ও আয়েত আলী গাজী এগিয়ে গিয়ে সেই লোকদের জানান যে, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছি, মুক্তিযুদ্ধের যোগ দিতে আগরতলা যাবো। একটু পরেই তাদের কথাবার্তা শুনে আমরা বুঝতে পারি তারা আসলে মুক্তিযোদ্ধা, এখানে পাহারা দিচ্ছিল কোন পাকিস্তানিরা এই এলাকায় আসে কিনা তার জন্য। তারা যখন জানতে পারলো আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের যোগ দিতে আগরতলা যাচ্ছি, তখনই তারা আমাদের সাদরে গ্রহণ করে সামনের দিকে পথ দেখিয়ে বলল, এই পথে আপনারা সোজা হাঁটতে থাকবেন, এক সময় আপনারা গিয়ে ত্রিপুরা সীমান্তে পৌঁছবেন।
এরপর আমাদের পুরো দলটি হাঁটা শুরু করলাম। কখনো টিলা, কখনো সমতল জমি, কখনো জঙ্গলের মতো এলাকা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যেতে থাকি। এইভাবে হাঁটতে হাঁটতে কয়েক ঘন্টা পর আমরা ত্রিপুরা সীমান্তে প্রবেশ করি। ত্রিপুরার ঢুকে আমরা সোজা আগরতলায় চলে যাই। আগরতলায় গিয়ে আমরা প্রথমে উঠি ক্রাফ্টস হোস্টেল। সেখানে গিয়ে পেয়ে যাই আমাদের এলাকার বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আশেক আলী মাস্টারসহ আরো অনেক সিনিয়র নেতাকে। আশেক আলী মাষ্টার ক্রাফ্টস হোস্টেলে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে থেকে আমরা অপেক্ষা করতে থাকি অস্ত্র ট্রেনিং নিতে অন্য ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য। ক্রাফ্টস হোস্টেলে কয়েকদিন থাকার পর আমাদের পাঠানো হয় বর্দোয়ালী ক্যাম্পে। সেখান থেকে আমাদের হাঁপানিয়া ক্যাম্পে নেয়া হয়।
ইতিমধ্যে আমাদের মধ্য থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ এবং আয়েত আলী গাজীকে প্রশিক্ষণের জন্য অন্য আরেকটি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমরা হাঁপানিয়া ক্যাম্পে একা হয়ে পড়ি। আমরা খুব মনমরা হয়ে পড়ি কবে আমাদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে সেই চিন্তায়। তখন বর্ষাকাল ছিল, প্রায় সময়ই বৃষ্টি হতো। সেই দৃষ্টিতে ভিজে একদিন প্রচন্ড ঠান্ডা লেগে যায় আমার, আমার সাথে আরো কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়। এভাবে কয়েকদিন অসুস্থ্য থাকার পর শরীর চরম দুর্বল হয়ে যায়। আমরা এত দুর্বল হয়ে যাই যে, ঠিকমতো হাটাচলা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
আমাদের এ অবস্থা দেখে নেতারাও চিন্তিত হয়ে পড়েন। এমন দুর্বল শরীরে আমাদের পক্ষে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব হবে না। একদিন নেতৃবৃন্দ এসে আমাদের কয়েকজনকে বলেন, তোমরা অসুখে আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছ। অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য তোমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, অসুস্থ্য অবস্থায় এত পরিশ্রম করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তোমরা আর এখানে না থেকে তোমাদের এলাকায় ফিরে যাও। এলাকায় ফিরে গিয়ে তোমরা ভালো করে বিশ্রাম নেও এবং চিকিৎসা করো। সুস্থ হলে আবার আগরতলায় আসবে।
তখন তোমাদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষন দিয়ে দেশে পাঠানো হবে। নেতাদের এইসব কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়ে যায়। এত কষ্ট করে এলাম, এখন শারীরিক অসুস্থতার প্রশিক্ষন নিতে পারবোনা শুনে মন বিসন্ন হয়ে যায়।এরপর আমরা কয়েকজন আবার দেশে ফিরে আসি। যে পথ দিয়ে আগরতলায় গিয়েছিলাম সেই পথে না এসে আমরা ভিন্ন পতে নিজ এলাকায় ফিরে আসি। এলাকায় ফিরে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করে, বিশ্রাম নিয়ে সুস্থ্য হয়ে আবার আগরতলা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকি।
এরই মধ্যে একদিন আমাদের এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম কেতা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি একজন লোককে ধরে নিয়ে জালকুড়ির দিকে যাচ্ছেন। আমাকে বলেন, আদমজীর ইটাখেলা (এখন নাভানা সিটি) এলাকায় এই রাজাকার থাকে। সে প্রায়ই এলাকায় মানুষকে নির্যাতন করে। আজ তাকে ধরে এনেছি। তুই চল আমার সঙ্গে। তার সঙ্গে মোজাম্মেলন নামে আরেকজন ছিলেন। পরে এই তিনজন মিলে সেই রাজাকারকে নিয়ে জালকুড়ির বিলে যাই। সেখানে রাজাকারের হাত-পা বেধে মাটিয়ে শুইয়ে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করা হয়। পরে সেখানে তাকে মাটিচাপা দিয়ে আমরা জালকুড়িতে চলে ডাই। জালকুড়ি থেকে আমি পরে আমার বড়ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি ফতুল্লার আইলপাড়ায় গিয়ে গোপনে কিছুদিন পালিয়ে থাকি। পরে এলাকায় আসি।
এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসে। আমাদের এলাকার অনেক বড়ভাই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক অপারেশন করেন। এরপর তাদের সঙ্গে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করি। এরপরই চলে আসে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিন। দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। বিজয় উৎসবে মেতে উঠি আমরা সবাই।
এস.এ/জেসি
- কিশোর গ্যাং নির্মূলে নীরব ফতুল্লা থানা
- বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না :দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস
- নারায়ণগঞ্জে শহীদ ৩০ জন, আহত ৩৮৫
- সাড়ে ৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ হতে যাচ্ছে যুবদলের কমিটি
- ৩’শ শয্যা হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের রামরাজত্ব
- ওসমান লুটেরাদের শাসনের অবসান
- প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত
- পতনের অপেক্ষায় ওসমান দোসররা
- উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
- প্রশাসনের নীরবতায় ফুটপাত-সড়ক দখলে হকাররা
- বিষন্ন হাতেম, তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা
- শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় জমজমাট না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
- ‘মাথা চলে গেছে কিন্তু লেজ রয়ে গেছে’
- শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না.গঞ্জ রাইফেল ক্লাব
- বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
- রূপগঞ্জে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি
- ফতুল্লা থানা বিএনপির বিজয় র্যালী
- আশার নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
- সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম মারা গেছেন
- বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ
- বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা জানালেন ড. ইউনূস
- বিজয় দিবসে দেখা নেই দাপুটে নেতাদের
- বিসিকে হাতেম গ্রুপের লঙ্কাকাণ্ড
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো : রোজেল
- আজ মহান বিজয় দিবস
- এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং
- আলীরটেক-বক্তাবলীতে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
- ছাত্র জনতার আকাঙ্খা পূরণ করতে পারলেই আমরা সার্থক হবো: ডিসি
- শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেন দলীয়করণ না হয়: গিয়াসউদ্দিন
- শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না.গঞ্জ রাইফেল ক্লাব
- বিসিকে হাতেম গ্রুপের লঙ্কাকাণ্ড
- বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
- পতনের অপেক্ষায় ওসমান দোসররা
- বিষন্ন হাতেম, তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা
- পদে বহাল থাকতে ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের নানা পায়তারা
- সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম মারা গেছেন
- বিজয় দিবসে দেখা নেই দাপুটে নেতাদের
- শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় জমজমাট না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
- ফতুল্লা থানা বিএনপির বিজয় র্যালী
- আশার নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
- ‘মাথা চলে গেছে কিন্তু লেজ রয়ে গেছে’
- না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা - প্রেসক্রিপশনে সভাপতি হয়েই দোসর হাতেমের স্ট্যান্টবাজি শুরু
- বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা জানালেন ড. ইউনূস
- আজ মহান বিজয় দিবস
- রূপগঞ্জে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো : রোজেল
- প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত
- খোকাকে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- সিঙাড়া ৫০ পয়সা, পরোটা এক টাকা!
- কত টাকা লাগবে হেলিকপ্টার ভাড়া করতে ?
- এক টুকরো মাংস না পাওয়া দু’ভাই এবার সবচেয়ে বড় গরুটি কোরবানি দিচ্ছে
- ৫ম উপজেলা নির্বাচন : কখন, কোথায়
- লাশের গলায় চিরকুটে লেখা ‘আমি ধর্ষক’
- বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ, ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে বললেন পার্থ
- কে এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই!
- ঢাবির ভাইরাল হওয়া ছবিটি বাবা-ছেলের নয়
- পাঁচ ঘন্টায় পাসপোর্ট পাওয়া যাবে উন্নয়ন মেলায় !
- অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাচনে ইব্রাহিম চেঙ্গিসের ভরাডুবি
- প্রথমে স্বামীর দুই পা কাটে, পরে দুই হাত কেটে মাথাও বিচ্ছিন্ন করে
- একটি ইলিশের দাম ১০ হাজার ৩শ টাকা !
- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করলেন সোহেল তাজ
- তিন ওসি ও ছয় দারোগার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ