রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বাবার পরে ছেলের পালা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪  

 

 

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মাকসুদ হোসেন। পরবর্তীতে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদকে পরাজিত করে উপজেলার চেয়ারম্যার নির্বাচন হন মাকসুদ। এবার নিজের ছেড়ে আসা ইউনিয়নের চেয়ারে ছেলেকে বসাকে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। 

 

সূত্রের খবরানুযায়ী, এরইমধ্যে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভকে প্রার্থী করানো থেকে শুরু করে নির্বাচনে জয়লাভ করা পর্যন্ত সকল কার্যক্রমের প্রি-প্ল্যান সম্পন্ন করেছে রাজাকার পরিবারটি। এদিকে, জয়লাভের পর বন্দর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের প্রথম সভা বয়কট করেছেন বন্দর উপজেলাধীন সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ নিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

 

জানা গেছে, গত ১০ জুন শপথ নেওয়ার পর চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় প্রথমবারের মতো যোগদান করেন চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। এরআগে, বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে শোডাউন দিয়ে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় যোগদান করেন তিনি।

 

অপরদিকে, ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভকে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে কোরবানীর ঈদের পর খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন। সেক্ষেত্রে ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাবা মাকসুদ হোসেন। 

 

এর আগেও, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এগিয়ে থাকার জন্যে ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভকেও প্রার্থী করেছিলেন বাবা মাকসুদ হোসেন। ছক অনুযায়ী সবকিছু কার্যকর হওয়ায় খুব সহজেই বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ার বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন মাকসুদ হোসেন। এবারে নিজের ছেড়ে আসা চেয়ার নিজেদের দখলে রাখতেই ছেলেকে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে চান মাকসুদ হোসেন।

এই বিভাগের আরো খবর