বুধবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৯ ১৪৩১

বিএনপির গুডবুকে তাঁরা

এম মাহমুদ:

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৪  

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ধরেই গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে চলমান। কিন্তু বর্তমানে সময়ে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি পূর্বের ন্যায় আরো বয়াল ভাবে গ্রাস করেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে। তারপরও সকল গ্রুপিংয়ের রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি ধারা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এখনো ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। 

 

তাছাড়া তাদের নির্বাচনী এলাকায়ও বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়েছেন এবং নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির রাজনীতিকে সুসংগঠিত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে তারা প্রত্যেকেই এখন বিএনপির গুডবুকে নিজের নাম লিপিবদ্ধ করাতে ইতিমধ্যে সক্ষম হয়েছেন।

 

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সবসময়ই ছিলেন গ্রুপিংয়ের রাজনীতির উর্ধ্বে। এমনকি গ্রুপিংয়ের রাজনীতি কবলে পড়ে দীর্ঘদিন ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত। পরবর্তীতে নেতৃত্ব পেয়েও আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত থেকে নেতৃত্বকে কুক্ষিগত বঞ্চিত করার রাজনীতিতে মগ্ন হননি উল্টো বিএনপি সংসংগঠিত করতেই ব্যস্ত। তাছাড়া গত ৫আগস্টের পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকেই প্রকাশ্যে জনগণের দারপ্রান্তে রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়ায় ফের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন গিয়াসউদ্দিন। 

 

যার কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গুডবুকেও রয়েছেন গিয়াসউদ্দিন। অপরদিকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রভাবে এখন বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক থেকে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়েই বিশাল কর্মীবাহিনী থাকায় জেলা জুড়েই বিএনপির রাজনীতিতে কন্ট্রোল রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় পুরো ঢাকা বিভাগেই এখন তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন তার নির্বাচনী এলাকায় এখন সর্বোচ্চ জনপ্রিয় বিএনপি নেতা হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন আজাদ। যার কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গুডবুকে রয়েছেন আজাদ। 

 

এদিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান একাধিক বার দলের আস্থা অর্জন করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন। তাছাড়া গত ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ব্যাপক সন্ত্রাস লুটপাট নৈরাজ্য ভয়াল আঁকাড়ে রূপ নিলে কাজী মনিরুজ্জামান রূপগঞ্জের সকল এলাকায় সন্ত্রাস লুটপাট নৈরাজ্য বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ অবস্থা নেন। যার ফলে বিগত সময়ে তার নির্বাচনী এলাকার যেখানেই একটি সভা ডাকলে এখন জনগণের উপস্থিতিতে জনসভায় রূপ নেয়। এভাবেই এখন রূপগঞ্জের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন কাজী মনিরুজ্জামান। পাশাপাশি দলীয় গুডবুকেও তার নাম ইতিমধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে। 

এই বিভাগের আরো খবর