বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিএনপির ব্যাড বুকে তাঁরা

এম মাহমুদ :

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৪  

এম মাহমুদ : দীর্ঘদিন বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত থাকার পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতনে ফের বিএনপি মুক্ত পন্থায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার প্লাটফর্ম পেলেও সেই প্লাটফর্মকে নারায়ণগঞ্জের গুটিকয়েক সুযোগ সন্ধানী নেতরা সন্ত্রাস,নৈরাজ্য,চাঁদাবাজির মহোউৎসব পরিণত করেন। কেননা গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির গুটিকয়েক নেতার উগ্র মনোভাবে সন্ত্রাস,নৈরাজ্য,চাঁদাবাজি কায়েক করেন ব্যাপকভাবে। যার কারণে ইতিমধ্যেই তাদের ঠাঁই হয়েছে বিএনপির ব্যাড বুকে। 

 

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার পুত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাস,নৈরাজ্য,চাঁদাবাজির মহোউৎসব গড়ে তুলেন। সোনারগাঁয়ে প্রতিটি সেক্টরে চলে মান্নান-সজীবের নিয়ন্ত্রণ। গত ৫আগস্টের পর সন্ত্রাস নৈরাজ্য চাঁদাবাজি কায়েম করে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ নেন।  এছাড়া রূপগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে গত ৫আগস্টের পর সন্ত্রাস নৈরাজ্য চাঁদাবাজি কায়েম করে রূপগঞ্জের অধিকাংশ গ্রুপ-ইন্ডাষ্ট্রির নিয়ন্ত্রণে নেন। 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদের অপব্যবহার  করে প্রভাব বিস্তার করে রূপগঞ্জের সকল সেক্টরে ভাগ বসিয়ে দেন। তবে এসকল অপরাধমূলক কান্ড করেও এখনও স্বপদে বহাল খোকন। অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য অকিল উদ্দিন ভূইয়া গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী মতির সকল অপরাধের সাম্্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন অকিল উদ্দিন ভূইয়া। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে পদ্ম ওয়েল কোম্পানী লাইন মেনটেইন ট্র্যাংক-লরি থেকে কৌশলে তেল নামিয়ে নেয়া চোরাই তেলের সিন্ডিগেট নিয়ন্ত্রণ করেন।

 

তাছাড়া ,মতির লোকজনদের এখনো তার ছাঁয়াতলে রেখে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এছাড়া আওয়ামীলীগের চোরাই তেলের সিন্ডিকেটের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নিয়েও করছেন সভা। যার কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙ্গা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগ এনে তাঁকে বহিষ্কার করা রাখা হয়। মূলত, এসকল নেতারাই বিএনপির ব্যাড বুকে অবস্থান করছেন। এছাড়া যেকোন সময়ে ব্যাড বুকে থাকা নেতারা বহিষ্কার হতে পারেন।

এই বিভাগের আরো খবর