শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জানা-অজানা-মজার ঘটনা

এন. হুসেইন রনী

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৩  

 

একজন উচ্চ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ বা পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী, সেরা লেখক, সেরা সাহিত্যিক বা সফল রাজনীতিবিদ যারাই বিখ্যাত হয়েছেন, অর্জন করেছেন মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা তাঁদের মধ্যে রসবোধ ছিল অত্যন্ত উঁচুমাপের।

 

 

প্রকৃতির তথা সমাজের জটিল সব রহস্য নিয়ে যারা ভাবতে পারেন, ব্যক্তিগত জীবনে তারা ছিলেন কখনো সরল সহজ, কখনো তীক্ষ্ম ব্যাঙ্গাত্মক, কখনো ভীষণ রসিক এবং প্রায় সবসময়ই, প্রচন্ড ভুলোমনা! আজ আমরা বিখ্যাত ব্যাক্তিদের এমনই কিছু ঘটনা জানার চেষ্টা করবো-

 

 

পাবলো পিকাসো

শিল্পী পাবলো পিকাসোর বাসায় একবার এক অতিথি এলেন। অতিথি বাড়ি ঘুরে ঘুরে লক্ষ করলেন, পুরো বাড়িতে বিচিত্র ধরনের জিনিসপত্র থাকলেও কোথাও পিকাসোর কোনো চিত্রকর্ম নেই। বেশ অবাক হয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ব্যাপার কী বলুন তো? আপনার বাড়িতে আপনারই কোনো চিত্রকর্ম নেই যে?’ রসিক পিকাসো বললেন, ‘আমার এত টাকা কি আছে যে বাসায় পিকাসোর ছবি রাখব? তাঁর একেকটা ছবির যা দাম!’

 

 

লিও টলস্টয়

সাহিত্যিক লিও টলস্টয় একবার বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। বলছিলেন সব প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা। এরই মধ্যে একজন প্রশ্ন করে বসলেন, ‘বনের মধ্যে একটা বাঘ আমাকে আক্রমণ করলে আমি কী করব?’ ‘নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন ঘটনা জীবনে একবারই ঘটবে।’ টলস্টয় বললেন।

 

 

আলবার্ট আইনস্টাইন

প্রথম ঘটনা: আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন?’

 

 

দ্বিতীয় ঘটনা: ১৯৩১ সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের 'সিটি লাইটস্' সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল। শো-এর পরে তারা দুজন শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এত জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এত পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।

 

 

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল

বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের অনুপস্থিতিতে তাঁর এক কর্মচারী একবার পৃথিবীর প্রথম টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করল। গ্রাহাম বেল ব্যাপারটি বুঝতে পেরে বেশ রেগে গেলেন এবং তার এক মাসের বেতন কেটে নিলেন। কর্মচারী এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার সীমা অতিক্রম করেছ।’ ‘কিসের সীমা?’ ‘কথা বলার সীমা,’ বেল বললেন।

 

-হিস্টরি টাইমলাইনস অবলম্বনে- অনুবাদক: এন. হুসেইন রনী, প্রাক্তন প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ফিরোজা বাশার আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা।