সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বৃষ্টি এলেই মহাসড়কে হাঁটু পানি

আশরাফুল আলম

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

 

সোনারগাঁ যে কোন সময় বৃষ্টি এলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজার দুটি লেনে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। এক দিনের বৃষ্টির পানি প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারনে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় প্রায় যানজটের সৃষ্টি হয়। মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা নিউটাউন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টোলপ্লাজার দক্ষিণ প্রান্তে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চাঁদপুর ও ফেনীসহ বিভিন্ন রুট থেকে যেসব যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে ওই লেনে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে আছে।

 

 

এর পাশের লেন দিয়ে বিভিন্ন শিল্প–কারখানার গাড়ি ও স্থানীয় লোকজন ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন। ওই লেনেও একই অবস্থা। লেন দুটি দিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ ছোট ছোট যানবাহন প্রায় অর্ধেক পানির নিচে চলে যায়। পানির কারনে মাঝে মধ্যে দুই-একটি ছোট যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে গাড়ি সেখানেই দাড়িয়ে পড়ে। তখন যানবাহনের চালক ও যাত্রী কয়েকজন মিলে পানিতে নেমে সেগুলো ধাক্কা দিয়ে পাশে নিয়ে আসে। যার ফলে ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন ধীরে ধীরে চলাচল করে।

 


চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের চালক আমিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে এভাবে পানি জমে যায়। স্থানীয় একটি শিল্পকারখানায় মালামাল নিয়ে আসছিলেন পিকআপ ভ্যানের চালক সোহরাব মিয়া। তিনি বলেন, পানি মারিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যায়। তখন গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

 


স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান,সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তাদের কাছে গত দুই বছর ধরে একাধিকবার মহাসড়কের পাশে নালা নির্মাণের জন্য বলেছেন। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

 


নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল জানান, মহাসড়কের ওই স্থানটি নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। ওই স্থানে নালা নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
 

এই বিভাগের আরো খবর