বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৩ ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় জেলায় ৮৫ মামলা

সাইমুন ইসলাম :

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৪  

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের ৩ মাস পূর্ণ

বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকবে। এ আন্দোলনের ঘটনায় পতন হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের। সরকার পতনের পরপরই ছাত্রজনতার উপর গণহত্যা,নিপীড়নের দায়ে দেশজুড়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতা, সমর্থক ও  দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া শুরু হয়। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনের সময় আওয়ামী সমর্থকেরা আন্দোলনকারী উপর যে হামলা করেছে তার প্রেক্ষিতে এ মামলা করা হয়েছে। এ ধরণের মামলায় নারায়ণগঞ্জের ৭ টি থানায় সর্বমোট  মামলা হয়েছে ৮৫ টি। তবে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যার সংখ্যা ৩৫ টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে ফতুল্লা থানায় যার সংখ্যা ২১ টা। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ মিলিয়ে মামলা হয়েছে ৫৬ টি।

 

অন্যদিকে সদর থানায় মামলা হয়েছে ৬ টি, সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে ১১ টি, বন্দর থানায় মামলা হয়েছে  ৩ টি, আড়াইহাজার থানায় মামলা হয়েছে ৪টি,রুপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে ৫ টি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সংসদীয় আসন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জে সবচাইতে বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এই এলাকার একাধিক গণ্যমান্য ব্যাক্তির সাথে কথা বললে তারা অভিমত ব্যাক্ত করে বলেন, শামীম ওসমান দেড় দশক ধরে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে দলবদল নিয়ে সাধারণ মানুষের উপর হামলা করেছে। তার মতো প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জের আর কোনো এমপি মাঠে অস্ত্র নিয়ে হামলা করেনি। সেই প্রেক্ষিতে তার সংসদীয় আসনে আরো মামলা হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না তারা।

 

শুধু তাই নয়, নারায়ণগঞ্জের মধ্যে আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের উপর সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জেই। অন্যদিকে সবচেয়ে কম মামলা হয়েছে বন্দর ও আড়াইহাজার থানায়।

 

আন্দোলনের সময় সৃষ্ট পরিবেশ নিয়ে সাধারন মানুষ বলেন বিগত সরকারের সমর্থকেরা বিশেষ করে শামীম ওসমান সহ বিভিন্ন এমপি ও এমপির ঘনিষ্ঠরা যেসকল কর্মকান্ড করেছেন তাদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এই বিভাগের আরো খবর