রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২৩  

 

# আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ করছেনা পরিবেশ অধিদপ্তর

 

 

শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জ জেলায় দিন দিন বেড়েই অবৈধ ফেক্টরী ও কারকাখার ছড়াছড়ি।আর সেটা কোন ভাবেই থামানো সম্ভব হচ্ছে না। যে যেভাবে পারছে কোন রকম লাইসেন্স বা অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত করছে এই সকল অবৈধ কারখানা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা এলাকার মধ্যেই অন্তত কয়েক হাজার এরকম অবৈধ কারখানা ফেক্টরী নজরে পড়বে। তবে এই সকল কারখানাগুলো  বছরের পর বছর পার করলেও নেওয়া হয়না কোন ধরনের ব্যবস্থা।শুধু তাই কিছু  পণ্য আছে যা বাংলাদেশে বর্তমানে একেরারেই নিষিদ্ধ এবং তা বাজারজাত করাও হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পলিথিন।জানা যায়, দেশে ২০০২ সালে পলিথিন ব্যবহারে নিষিদ্ধ করা হয়।

 

তারপর থেকেই পলিথিন বাজারজাত করার জন্য কোন ধরনের অনুমতি মেলেনি। তবে নারায়ণগঞ্জে তার একেবারেই ব্যতিক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও ফতুল্লার কুতুবপুরে বেড়ে উঠেছে বেশ কিছু অবৈধ পলিথিন কারখানা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই সকল কলকারকানা গুলো কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে দাপটের সহিত অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরে আইনে আছে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন, ১৯৯৫ (সংশোধীত)আইনে আছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্র উৎপাদন, বিক্রয়, ইত্যাদির উপর বাধা নিষেধ (নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলি ইথাইলিন বা পলি প্রিপাইলিনের তৈরী ব্যাগ) উৎপাদন, আমদানী ও বাজারজাতকরণ করে তাহলে এই অপরাধের ক্ষেত্রে অনাধিক ২ বৎসর কারাদণ্ড বা অনাধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে ।

 

পরবর্তীতে প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে দুই বৎসর অনধিক দুই বৎসরের কারাদণ্ড বা অন্যুন ২ লক্ষ টাকা অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। দ্বিতীয়ত পলিথিন বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার কারনে অনাধিক ১ বৎসরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। পরিবেশের জন্য এই সকল ক্ষতিকর পলিথিনের জন্য শাস্তিমূলক আইনের ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘদিন যাবৎ হচ্ছেনা এই ধরনের অবৈধ পলিথিন কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে।কিন্ত মানছেনা অসাধু এই ব্যবসায়ীরা তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এলাকার কথিত নেতাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে এই সকল কারখানা গুলো চালিয়ে থাকে তারা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল এই সকল কারখানা মালিকরা কাউকে ভয় না পেয়ে অবাদে তাদের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই ব্যবসা সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে জানান, আমরা সবকিছু ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করে যাচ্ছি । প্রশাসন, সাংবাদিক, নেতারা সহ বিভিন্ন লোকদের টাকা দিয়ে ব্যবসা চালাই তাই কাউকে তোয়াক্কা করার সময় নাই। আমাদের ব্যবসা চলবেই নিউজ করলেও কিছু হবেনা। অবৈধ পলিথিন কারখানার খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফতুল্লার কুতুবপুরে পাগলা, নয়ামাটি, নন্দলালপুর ও তার আশেপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানা। আর এই সকল কারখানা এলাকার পরিবেশ দূষণ করে আসছে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর