রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম চড়া হাত বদলালেই বেড়ে যায় দাম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  


বাঙ্গালীদের খাবারের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে মাছ। আর সেটি যদি হয় জাতীয় মাছ ইলিশ তাহলে তো কথাই নেই। বর্তমান সময় ইলিশের ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। বাজারেও রয়েছে এর বেশ ঘটা। কিন্তু নেই ইলিশ ধরা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষের পাতে।

 

 

ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম সস্তা থাকার কথা থাকলেও বাজারে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য। ইলিশ কিনতে চড়া দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কেননা ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী। চড়া দামের মাঝে ইলিশ কিনা সাধ্যের বাহিরে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের।

 

 

এতো টাই সাধ্যের বাহিরে যে বেশির ভাগ মধ্য ও নিম্ন মানুষের কাছে তা ক্রমশ দূরের বস্তু। তাই এ সময়ে অনেকেই ইলিশের স্বাদ পেতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ছোট আকারের জাটকা। আবার অনেকেই মলিন বদনে চেয়ে থাকেন ইলিশের দিকে।

 


ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে এত এত মাছ ধরা পরার পরেও বাজারে ইলিশের দাম এত কেন এমন হাজারো প্রশ্ন রয়েছে ভোক্তাদের মনে। ইলিশের বাজারের মূল সমস্যা অনুসন্ধানে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ৩নং মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের কাছ থেকে যখন নারায়ণগঞ্জের মাছের আড়তে আসে তখনই মূলত ইলিশ নিয়ে কারসাজি হচ্ছে ।

 

 

তিন হাত বদলে বেড়ে যাচ্ছে ইলিশের দাম। এতেই ৬০০ টাকার ইলিশ হয়ে যাচ্ছে ৯০০ টাকা। ৯শ- ১ হাজারের ইলিশ হয়ে যাচ্ছে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে যারা খুচরা কিনছেন তারাও জানে পাইকারিতে ইলিশ নিয়ে কারসাজি হচ্ছে তাই তারা আড়ত থেকে যে দামে ইলিশ কিনছেন খুচরা ক্রেতাদের কাছে  দাম হাকেন ক্রয়ের চেয়ে দ্বিগুন বেশি। দামের এই কারসাজিতে ইলিশ চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে।

 


পাইকারি ও খুচরা  বাজারে খোজ নিয়ে জানা যায়, শেষ রাতে পরিবহের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ আসে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি আড়তে। ভোর ৬টার পর পরই বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রিতারা মাছ কিনতে চলে আসে এখানে। আড়তের সেক্রেটারি তার লোকবল নিয়ে শুরু করে দেয় মাছ বিক্রি।

 

 

চাদঁপুর, মুন্সিগঞ্জ কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকে পাইকারি আড়দাররা আকার ভেদে যেসব ইলিশ মাছ প্রতি কেজি কিনে আনে ১২শ টাকায় সেসব মাছ নারায়ণগঞ্জের  ৩নং মাছ ঘাটে আসলে দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা। বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা আবার ১৫শ টাকার মাছ ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজি ১৮শ- ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে আর ৬০০-৭০০ টাকার মাছ হয়ে যায় ৯০০-১০০০ টাকা।

 

 

অন্যদিকে যেসব মহিলা বা পুরুষ মাথায় করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ বিক্রি করে তারা আবার ক্রয়ের দামে তুলনায় ১৫০-২০০ টাকা লাভে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। তাতে হাত বদলেনোর সাথে সাথে দফায় দফায় বাড়ছে ইলিশ মাছের দাম।

 


ইলিশ মাছের দাম এত বেশি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ৩নং ঘাটের মাছ আড়ৎদার মালিক সমিতির সেক্রেটারী ছনি যুগের চিন্তাকে বলেন, গত বছর এ দিনে ইলিশের প্রতি কেজি বিক্রি করেছি ৭০০-৮০০ টাকা দরে কারণ তখন ইলিশের আমদানি ভালো ছিলো। কিন্তু এই বার ইলিশের দাম বেশি হওয়ার কারণ নদীতে ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে গত বারের তুলনায় এবার বেশি অভিযান থাকার কারনে মাছটা নদী থেকে অন্যদিকে চলে গেছে। তাই জেলেদেও জালে তেমন ইলিশ ধরা পরছে না।  এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর