সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভালো নেই নারায়ণগঞ্জের নিম্ন-আয়ের মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২  


# ধনী জেলা হলেও ভিক্ষুকদের সংখ্যাও বেড়েছে
# মধ্যবিত্ত পরিবারে হাসফাঁস


সারদেশেই দিন দিন ব্যাপক হারে বেড়েই চলছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি। আর এই ঊর্ধ্বগতি দ্রব্যমূল্যের উপর সীমাবদ্ধ থাকেনি। বেড়েছে, গ্যাস, জ্বালানি তেলসহ  নানান জিনিস পত্রের দাম। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির যদি একটি কারণ খুঁজতে হয় তাহলে দেখা যাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো আর তেলের দাম বাড়ানোর কারণে বেড়ছে গাড়ির ভাড়া , লঞ্চের ভাড়া সহ বিভিন্ন যানবাহনের ভাড়া।

 

 

অন্যদিকে ভোজ্যেতেলের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে বিভিন্ন বেকারীর আইটেমের দাম। শুধু তাই নয় বেড়েছে মাছ, মাংস, মুরগির দাম। ঊর্ধ্বগতিতে পিছিয়ে নেই কাচাঁবাজারের তরিতরকারির দাম। একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে অসুবিধার মধ্যে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

 

আর সেই ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই নারায়ণগঞ্জের মানুষ। সারা বাংলাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ধনী জেলা হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে দেশের ঊর্ধ্বগতির কারনে এই জেলার মানুষ ব্যাপক বেকায়দার মধ্যে রয়েছে। এই ধনী জেলাতে দিন দিন বেড়েই চলছে ভিক্ষুকদের সংখ্যা। দেশের এমন পরিস্থিতির কারণে বেশির ভাগ সমস্যার মধ্যে পড়ছে মধ্যবিত্তরা তারা পারছে না কারো কাছে চাইতে এমনকি হাত পাততে।

 

 

আর এই সমস্যাটিতে মধ্যবিত্তরা করোনা দুযোর্গকালীন সময়েও পড়েছিল এবং সেই ধকল কাটিয়ে  উঠতে না  উঠতেই আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যার চাপ তারা এখন আর সামলাতে পারছে না তাই প্রতিনিয়তই তাদের পরতে হচ্ছে নানান সমস্যায় আর এই সমস্যা সমাধানের উপায় তারা দেখতে পারছে না যতদিন না দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে।

 

 

এ বিষয়ে নিম্ন আয়ের একজন রাজমিস্ত্রি জানান, কয়েক বছর আগেও যে মজুরিতে কাজ করেছি এখনো সেই মজুরিতেই কাজ করছি। বছর, মাস, দিন পার হলেও বাড়েনি মজুরি। তবে ক্রমশই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যা দিন দিন আমাদের কেনার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা চাই পণ্যের দাম শহনশীল অবস্থায় থাকুক যাতে করে আমরা সেই আগের মতো জীবন যাপন করতে পারি। আর যদি এইটা না হয় তাহলে আমাদের মরা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

 

 

এ বিষয়ে মধ্যবিত্ত একজন চাকরিজীবি জানান, নারায়ণগঞ্জ ধনী জেলা হলেও এই জেলার বেশির ভাগ মানুষ বিপদ সীমার মধ্যে দিয়ে পার হচ্ছে তাদের পরিবার নিয়ে। আর এর কারণ হচ্ছে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন দূর্যোগকালীন সময়ে অনেক কষ্ট করেছি।

 

 

করোনা দুর্যোগ আমরা কাটিয়ে উঠেছি তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারকে একেবারে শেষ করে দিচ্ছে।অফিসের বেতন না বাড়লেও বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যে কারনে আমরা পরিবার নিয়ে বিপদসীমার মধ্যে পার করছি প্রতিটা সময়।

 

 

অন্যদিকে এই ধনী জেলা নারায়ণঞ্জে এখন ব্যাপক হারে বেড়েছে ভিক্ষুকের আনাগোনা কাজ না পেয়ে টাকার প্রয়োজনে দেখা গিয়েছে অনেকে ভিক্ষাবৃত্তি পথ বেছে নিচ্ছে। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তারা সহজ ভাবে এই ভিক্ষা নেওয়ার কাজটি করে থাকে।তবে ভিক্ষুকরাও ভিক্ষা করে এখন তেমন সুবিধা করতে পারছে না ভিক্ষুকদের দাবি এখন আর আগের মতো কেউ ভিক্ষাও দিতে চায় না।

 

 

এদিকে সুশিল নাগরিক সমাজ জানান, দেশে যেইভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হচ্ছে এটা যদি এখনোই কন্ট্রোল করা না যায় তাহলে দেশেকে দূভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। হঠাৎ করেই এক একটি পন্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আর এই দাম বাড়ার কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাধারন মানুষের রক্ত চুষে নিচ্ছে।

 

 

তাই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সবার আগে এই সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং প্রতিনিয়তই বাজার মনিটরিং করতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে দ্রব্যমূল্যের দাম।  এন.এইচ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর