সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে দাবড়ে বেড়ায় ১৯ দালাল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২  

 

# দালালমুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সিভিল সার্জন

 

নারায়ণগঞ্জে দুইটি সরকারী হাসপাতাল মধ্যে নিতাইগঞ্জে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) অন্যতম। নারয়ণগঞ্জের দুইটি হাসপাতাল থাকলেও সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ সামাল দিতে হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালকে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য আসে, তেমনি আছে হাসপাতাল ঘিরে দালাল ও প্রতারক চক্রের মেলা যাদের কারণে সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

 

গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোই বেশি চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য সরকারী হাসপাতাল গুলোতে যায়, কিন্তু দালাল এর প্রতারণায় পরে তারা সব হারিয়ে চিকিৎসা থেকে বিপদেই পড়ছে বেশি। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রধান হাসপাতাল হিসাবে সকল মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসলেও চিকিৎসার থেকে ভোগান্তির পরিমাণ হয় অনেক বেশি। জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের প্রতিটি ডাক্তার এর চেম্বারের সামনে ৩/৪ জন করে দালাল এর দেখা মিলে। 

 

যাদের কাজ হলো সাধারন মানুষকে হাসপাতাল থেকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে যাওয়া এবং অনেক রকমের পরীক্ষার নামে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের নিজ লাভের আশায় তারা এসব লোকদের রাখছেন। জরুরী বিভাগের সামনে গেলেই দেখা মিলে এসব দালালদের। কখনো তারা হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন আবার কখনো তারা ডাক্তারের পিএস। 

 

আবার কখনো তারা পরিচয় দেয় যে, তারা হাসপাতালের কর্মচারী।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জানার পরেও নিশ্চুপ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। তবে সূত্রমতে জানা যায়,  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনেকেই  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকে।


ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে দালালদের মধ্যে অন্যতম হলো, ১/ ইবনে অবু সাঈদ রনি ২/ জাইদুল ইসলাম ৩/ মো: আকাশ ইসলাম, ৪/ মো: আমির হোসেন ৫/ মো: জাহিদ ৬/ মো: ফরহাদুজ্জাম্মান ৭/ আরাফত হোসেন মোল্লা ৮/ মো:অপু ৯/ মো:আকাশ  ১০/মো: রাব্বি ১১/ বাপ্পি মন্ডল  ১২/ মো: সবুজ, ১৩/ মো: এজ্জাদুল ১৪/ মো: মারুফ ১৫/ আক্তার (ওরফে) হিরুচি আক্তার ১৬/ মো: হিরা ১৭/ মো: জজ মিয়া ১৮/ মো:গিয়াস  ১৯/ (মহিলা) হাজেরা বেগম।


কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে দালালদের  গ্রেফতার আদেশ প্রদান করেন, পরে ডিবি পুলিশ ১৬ দালালকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে তার কিছুদিন পরে জামিনে মুক্তিপান তারা, মুক্তি পেয়েই আবার সেই আগের কাজে লেগে পরেন সকলেই।


এবিষয়ে , নারায়ণগঞ্জ জেলা সির্ভিল সার্জন মো. মশিউর রহমান যুগের চিন্তাকে জানান, ‌‌‌‌‍‌‘আমি সব সময় চেষ্টা করছি যাতে দালালরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিতে না পারে। কিছু দিন আগেও আমি অনেক গুলোকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। তার পরেও এখনো কিছু দালাল আছে আমি তো সব সময় তাদের পাহারা দিয়ে রাখতে পারবোনা, জনগণকে সচেতন হতে হবে।’ 

 

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে রোগীদের সাথে সাধারন মানুষ এসে ভিড় করে সেখানে কে দালাল, কে ভালো, আমি তা কি করে বলবো। তার পরেও আমরা চেষ্টা করছি নারায়ণগঞ্জবাসী যাতে ভালো চিকিৎসা পায়।’ এন.এইচ/জেসি                                                                     
 

এই বিভাগের আরো খবর