রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মনিটরিং করেও কমছে না পণ্যের দাম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৩  


বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি যেন সাধারণ ও নি¤œ আয়ের মানুষের মরার উপর খরার ঘাঁ হয়ে কাজ করছে। বাজারে গেলে দেখা যায় বর্তমানে মানুষের টাকা আয় করার আগেই ব্যয় হয়ে যাওয়ার সংকট একটু বেশি থাকে। গতকাল বুধবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব পন্যের দাম ঊর্ধ্বমুখি। চাল- ডাল থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবজিসহ সব নিত্যপন্য নিয়ে বাজারে চলছে কারসাজি।

 

 

বাজারে এমন কেনো সবজি নেই যার দাম বাড়েনি, প্রত্যেকটি সবজির দাম ১০ থেকে ১৫ করে  বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে পন্যের দাম বৃদ্ধির কোনো সুনির্দিষ্ট কারন জানা নেই বিক্রেতাদের। মাছ-মাংস ও অন্যান্য খরচ চালাতে নির্দিষ্ট আয়ের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, সংসারের ভার সামলাতে সামলাতে কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ।  

 


এদিকে আলু,পিয়াজ . আদা- রসুনএর দামও যেন নিয়ন্ত্রনের বাইরে। বাজারে আলুর দাম আগে প্রতি পাল্লা ১৮০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে যা এখন বর্তমানে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দর। পিয়াজ  প্রতি পাল্লা ৩৫০ টাকার পরিবর্তে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়

 


এদিকে মুরগির বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়, গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৪০ টাকা, কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা করে ও দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

দিগুবাবু বাজারে মুরগি কিক্রেতা সুমন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। উৎপাদন ভালো থাকায় ব্রয়লার মুরগি ও লেয়ার এর দাম কিছুটা কমেছে। আর গরু ও খাসির মাংসের দাম বছর বছর বাড়ছেই।

 


ভোক্তা অধিদপ্তর মেজিষ্ট্রেট সেলিম উজ্জামান বলেন, উৎপাদন কম হওয়ার কারনে দাম উঠানামা হতে পারে। আর এখন আলুর দামও কিছুটা কমেছে। আমরা মনিটরিং করি সবসময়ই দাম বাড়ানো নিয়ে অনেকজনকে আইনের আওতায় ও আনা হচ্ছে, অনেকবার জরিমানাও করা হয়।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর