মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

মশা নিধন কর্মসূচি বন্ধ, ডেঙ্গুর  চোখ রাঙানিতে আতঙ্ক

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়টা থাকে বর্ষাবৃষ্টি। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত এই সময়টায় ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা প্রকোপ বাড়ে অনেক বেশি। এ সময়টাকে ডেঙ্গুর  মৌসুমও বলা হয়। বৃষ্টি হওয়ার কারনে বাড়ির আশপাশে, ছাদের টবে, অপ্রয়োজনীয় টায়ারে পানি জমে থাকে। আর এসব জমে থাকা পানিতে এখন ডেঙ্গু প্রজননের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে সিটি করপোরেশনের মেয়র  বা কয়েকটি ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি না থাকায় মশা নিধন কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।

 


এদিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই জ্বর-শরীর ব্যাথা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে রোগীরা ভীড় করছে। ডেঙ্গুর কোনো দিক লক্ষণ দেখা মাত্রই ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন রোগীরা। এত করে কিছু কিছু শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২জন।

 


নগরবাসী বলছেন, বর্তমানে এই রোদ-বৃষ্টির সময় অর্থাৎ আগস্ট থেকে অক্টোবর এই সময়টিতে সব জায়গাতে ডেঙ্গু মশার উৎপাত বাড়ে। তাই সাধারণ নাগরিক জীবনের কথা চিন্তা করে সিটি কর্পোরেশন বা জনপ্রতিনিধিদের এই এডিস মশা নিধনে সচেতন হওয়া দরকার।

 


নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান যুগের চিন্তাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর তেমন একটা প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না। হাসপাতালে প্রতিদিন ৩-৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। যেহেতু আগস্ট থেকে সেপ্টম্বর ডেঙ্গুর মৌসুম বেশি থাকে তো এই অবস্থা আমার মতে সিটি কর্পোরেশনের কাজগুলো সচল করা জরুরি।

 

 

বর্তমানে এদিকে খুব সচেতন হওয়া দরকার। বৃষ্টির কারনে যেখানে যেখানে পানি জমে আছে সেখানে ঔষধ দিতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত আছে। এছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গুর যথেষ্ট পরিমান কিড আছে।

 


তিনি আরও বলেন, সবার আগে সাধারণ মানুষের এখান থেকেই সচেতন হতে হবে। দিনের বেলায় মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমানো, ছাদের বাগানে পানি না জমানো, বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে থাকা খেয়াল রাখতে হবে, দুদিনের বেশি যেন কোথাও পানি জমে না থাকে। কারণ নোংরা , পচা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। এছাড়া যদি কারো গায়ে জ্বর থাকে তাহলে কেউ যাতে প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ঔষধ না খায়। এবং নিকটস্থল ডাক্তারের পরামর্শ নেয়।       এন. হুসেইন রনী  /জেসি