বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১২ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন স্কুলে মৃত্যু ফাঁদ

যুগের চিন্তা রির্পোট

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

# আমি নিজেও এটা খেয়াল করি নাই : সভাপতি শাহ আলম
# দুর্ঘটনা ঘটলে এই দায়ভার নিবো :  প্রধান শিক্ষিকা


 

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতনে বহুতল ভবনের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি ঘেঁষে এই বহুতল ভবনের কাজ শুরু করা হয়েছে । এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

 

 

বিদ্যুতের লাইন ঘেঁষে কাজ করতে গিয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে এমন ঘটনা বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানা থেকে বহু প্রতিষ্ঠান এই ধরণের অনৈতিক কাজ করে থাকে । যা অনেকের কাছে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে থাকে।

 

 

একটি স্কুল প্রতিষ্ঠান এই ধরণের কাজ করবে যা সবার প্রত্যাশার বাইরে ছিলো। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন আদর্শ শিক্ষা দান থেকে বেরে হয়ে বাণিজ্যিক হিসাব করে অধিক মুনাফা আশায় এই ধরণের কাজ করে থাকে। সে প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে। এই বিষয় এলাকার ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বহুতল ভবনের কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠনাটি এই ধরণের কাজ কিভাবে করতে পারলো। এই ভবনে যে শিক্ষার্থীরা থাকবে একটি ঝুঁকি মধ্যে থাকবে। এই ভবনে আমার সন্তান থাকলে আমি এই প্রতিষ্ঠানে রাখবো না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কে নিবে এই দায়ভার? বহুতল ভবনের কাজ হাতে নেয়ার আগে তাদের বিদ্যুৎ অফিসের সাথে পরামর্শ করে বিদ্যুৎতের খুঁটি সরিয়ে তারপর কাজ করা উচিত ছিলো।

 

 


এলাকার বাসিন্দা জানান, স্কুলের বহুতল ভবনের কাজ শুরু করার আগে তারা বিদ্যুৎ অফিসের সাথে কথা বলেছে কি না আমরা এই বিষয় বলতে পারবো না। এটি স্কুল প্রতিষ্ঠানের বিষয়। কিন্তু তাদের এ কাজটা করা উচিত হয়নি। তারা এরকম কাজ করতে পারবে আমি ভাবতে পারছি না। এতো গুলো শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা তাদের মোটেও উচিত হয়নি। তারা দেশ ও সমাজ গড়া কারিগর তারা যদি সমাজকে এই শিক্ষা দেয়। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কি শিখবে।

 

 


মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন এর সভাপতি শাহ আলম বলেন, তারা খুঁটি বসানোর সময় আমাদের জানিয়ে বসায়নি। আমারা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিবো। সাদ ঢালাই দিয়েছি তাতে কি হয়েছে। আমরা ডিপিডিসি কাছে আবেদন করবো। এটা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এইভাবে তো রেখে দিবো না। আপনি আমাকে জানিয়েছেন এটা অনেক ভালো হয়েছে আমিও নিজেও এটা খেয়ার করি নাই। আমরা এটা সরানোর জন্য আবেদন করবো।

 

 


এই বিষয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আজিমুন নেছা গাজী বলেন, আমাদের আবেদন যা দেয়ার তা আমরা দিবো তারপরও আর কি করার আছে। বুঝতে পারছি আমার অন্যায় হয়েছে অপরাধ হইছে এটা স্কুলের বিষয় আমরা এখানে কি করতে পারি। এটা বলে লাভ নাই এটা হয়ে গেছে এখন কিভাবে করা যায় সেটা বলেন।

 

 


এই সময় প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটলে এই দায়ভারে প্রশ্ন তুললে তিনি হাস্যজ্জল মুখে বলেন, দায়ভার নিলাম, ‘ফাঁসি ঝুলায়া দিবেন সমস্যা কি ? বাংলাদেশে সবই সম্ভব। বিদ্যুতের খুঁটির বিষয় আমাদের জানা ছিলো না। আমাদের অজান্তে হয়েছে। তারা বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে দিবে বলে ছিলো তারপর আর আসেনি।

 

 

তারপরও আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখছি আমরা অভিযোগ পত্র ডিপিডিসি কাছে জমা দিবো। যদিও এটি সামাজিক কাজ তারপরও এলাকাবাসী এই বিষয় আমাদের কিছু বলে নাই। আপনাকে আরেকটি তথ্য দিচ্ছি গোদাইলে একটি বাসাবাড়ির সাধ বিদুৎতের খুঁটির সাথে দিয়েছে। তারা কিভাবে করতে পারলো? বলে প্রশ্ন তুলেন।

এই বিভাগের আরো খবর