সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১

মুহাম্মদ (স.) আমার অনুপ্রেরণা : ব্রিটিশ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২০  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : নারী হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হযরত মুহম্মদ (স.) ই আমার অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী নাজ শাহ এমপি।


আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে হাউস অব কমন্সে এ মন্তব্য করেন বলে পাকিস্তানভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য ফ্রন্টিয়ার পোস্ট জানিয়েছে। নাজ শাহ ব্রিটিশ লেবার পার্টির একজন রাজনীতিবিদ ও ব্র্যাডফোর্ড ওয়েস্টের সংসদ সদস্য।

 

নাজ শাহ বলেছেন, একজন ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে যে ব্যক্তি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও ক্ষমতায়ন করেছেন তিনি হলেন হজরত মুহম্মদ (সা.)।

 

হাউস অব কমন্সে নাজ শাহ বলেন, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্ট হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বের সেরা বিধানদাতাদের একজন আখ্যা দেয়। আর সেই মুহম্মদ (স.)-ই একমাত্র ব্যক্তি যার কাছ থেকে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি।


লেবার পার্টির এই এমপি বলেন, মুহম্মদ (স.) এমন একটা সময় পৃথিবীতে এসেছিলেন, যখন নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো। তারা ছিলেন শোষিত, বঞ্চিত ও হত্যাকাণ্ডের শিকার। শিশুসন্তান মেয়ে হলে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো।

 

তিনি বলেন, ‘কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় পরবর্তীতে মহানবী (স.) এমন একটি সমাজ উপহার দেন; যেখানে নারীরা শুধু তাদের বেঁচে থাকার অধিকারই পায়নি সম্পত্তি, বিয়ে, উত্তরাধিকার, ভোট প্রদান, সম্মান, মর্যাদা এবং স্বাধীনতা-সবই পেয়েছে,’ বলেন নাজ শাহ।

 

মুহম্মদ (স.) এর পাশাপাশি ১২ জন নারীকেও কৃতজ্ঞাচিত্তে স্মরণ করেন হাউস অব কমন্সে প্রতিনিধিত্বকারী এই নারী এমপি বলেন, ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক মেরি ওলস্টোনক্র্যাফ্ট, ইংরেজ রাজনীতিবিদ এমেলিন পানখুর্স্ট, অধিকার কর্মী রোজা পার্ক, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো, অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে-এরা শুধু সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেননি; অনুপ্রেরণা ও উৎসাহও দিয়েছন। এখানেই শেষ নয়, নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

এই বিভাগের আরো খবর