রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য হলে এই শহর স্তব্ধ করে দেবো

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪  

 


নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত বলেন, যার বিড়াল, সেই বিড়াল যদি মালিককে মেউ বলে সেটা বলে? এই রকম অনেক বিড়াল নারায়ণগঞ্জ শহরের জিএম আরাফাতের তৈরী। এখানে যারা আছেন প্রত্যেকে এক একজন জিএম আরাফাত। এই নারায়ণগঞ্জে যদি কথা বলি তাহলে এই শহরে আপনারা অনেকে পা দিতে পারবেন না।

 

 

নারায়ণগঞ্জের পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকার সুযোগ্য কন্যা, সারা বাংলাদেশের আলোচিত মেয়র, যিনি বার বার নির্বাচিত হন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে বলেন আমার আইভীর উপর আমার আস্তা আছে, দলের দূর সময়ে আইভী নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের মুখ উজ্জল করে। আর আপনারা মেয়রের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

 

 

মেয়র কখনও উস্কানি দেবে তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত আমাদের কোন রকমের কিছু বলেন নাই। আমরা কাজ করছি, প্রতিবাদ করছি মেয়র তার ভাষায় সেদিন বক্তব্য রেখেন ১৬নং ওয়ার্ডে। এর পরে তিনি আর কোন জায়গায় বক্তব্য রাখেন নাই।

 

 

গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় ২নম্বর রেল গেইটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সদর ও বন্দরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি.এম আরাফাত এ কথা বলেন।

 

 

তিনি আরও বলেন, আমরা যে সব ওয়ার্ডের বিরুদ্ধে কথা বলি বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৫-১৬নং ওয়ার্ড নিয়ে। আমরা ত ১৮নং ওয়ার্ডে কামরুল হাসান মুন্না বা কবির হোসাইন এর কমিটির বিরুদ্ধে বলি নাই, আমরা তো ১৭ নং ওয়ার্ডে আনিস ভাইয়ের কমিটির বিরুদ্ধে বলি নাই, আমরা তো ১৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মনির ও পারভেজ ভাইয়ের কমিটির বিরুদ্ধে বলিনাই।

 

 

শহরের এমন আরও ওয়ার্ড আছে আমরা তো সে সকল কমিটির বিরুদ্ধে বলি নাই। আমরা বলেছি নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৫ ও ১৬নং ওয়ার্ডে এই কমিটি ভালো হয়নি। এই কমিটিতে ত্যাগিদের মূলায়ণ করা হয়নি। এখানে আমাদের পূর্ব পুরুষদের অপমান করা হয়েছে সেই কারনে আমরা প্রতিবাদ করেছি। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নাই।

 

 

আমি মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এখনও এই পদে আছি। তিনি আরও বলেন, আপনি সাহসের কথা জানতে চান? যখন বাংলাদেশে আসতে পারেন না, যকন নারায়ণগঞ্জে ডুকতে পারেন না তখন আরাফাতকে ফোন দিয়েছেন। সাহসের কথা বলেন, সাহসের কি দেখেছেন আপনি, আপনি জানেন না আমার সাহস কি?

 

 

আপনাকে সম্মান করি শ্রদ্ধা করি এটা আমাদের অন্যায় না অপরাধ না। এটা দুর্বলতা নয়, আমরা এতোই শক্তিশালি যেটা আপনি কখনও চিন্তাই করতে পারবেন না। এই নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের নেত্রী ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী যদি ডাক দেয় তাহলে এক মুহুর্তে এই নারায়ণগঞ্জ অচল হয়ে যাবে।

 

 

আপনি বন্দর বলেন, শহর বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বলেন যিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ২৭টা ওয়ার্ড নিয়ে ওনি নেতৃত্ব দেন তাকে একটি ওয়ার্ডেও জিজ্ঞাস করেন নাই। তার জন্মস্থান যেখানে, আমাদের জন্ম যেখানে সেই ১৬নং ওয়ার্ডে কমিটি করেছেন তাকে জিজ্ঞাস করেন নাই। কোন সাহসে আপনারা সেখানে কমিটি করেছেন, এই কমিটি ত কেউ মানবে না।

 

 

আপনি মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাবে আন্দোলন সংগ্রামে গুটি গুটি পায়ে পায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছেন। মনে রাখবেন আমরা সংখ্যায় যাই হই, তিল তিল করে এই দাবি সংগ্রাম আদায় হবে ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা সেই দাবি জানিয়েছি, আমরা সেটা জমাও দিয়েছি।

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন আপনারা আপনাদের কাজ করেন আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো। তিনি আরও বলেন, এই শহর আওয়ামীলীগের সম্মেলন যখন হয়, তখন আপনি নারায়ণগঞ্জে আসতে পারেন না।

 

 

আপনার প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড.আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আদিনাথ বসু ও এড,হান্নান আহমেদ দুলাল এই তিনজনকে নিয়ে মাননীয় মেয়র তখন পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তাকে রিকোয়েস্ট করে তার সম্মতি নিয়ে আপনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন, বিজয়ী হলেন।

 

 

এখন অন্য কথা শুনি, এখন অন্য সুর শুনি। মনে রাখবেন অতিত ভুলে গেলে ভবিষ্যত কাউর জন্য মঙ্গল হয় না। মেয়র নারায়ণগঞ্জের যে ভাবে উন্নয়ন করেছে, যে ভাবে উন্নয়ন সাধিত করেছে, ওনি ত কখনও রাজনীতি নিয়ে কাউর মাথা ঘামাননি। ওনি কখনও রাজনীতি পেছু আসেন নি, ওনি কখনও কমিটি নিয়ে চাঁপাবাজি করেন নি, তাহলে কেনো তার বিরুদ্ধে এসকল বক্তব্য আসে।

 

 

তাই বলবো ভবিষ্যতে যদি তার বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য হয় তাহলে আমরা এই নারায়ণগঞ্জ এই শহর স্তব্ধ করে দেবো ইনশাল্লাহ। পৌরপিতা আলী আহম্মদ চুনকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি দীর্ঘ সময় নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, তার কন্যা একবার পৌরসভার চেয়ারম্যান ও তির বার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাকে নিয়ে আপনারা কথা বলেন আপনাদের সাবধান করে দিলাম।

 

 

সাধারণ সম্পাদক সাহেব আপনি সেদিন সার্টিফিকেট এর কথা বলেছেন, আজকে আপনাকে বলি শুনেন সেদিন আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার্টিফিকেট জমা দিয়েই আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। আজকে আপনি হেরে যাবেন কথা বইলেন না। আপনি তাদের ধমক দেবেন যারা আপনার দাতন খায়, আপনি তাদের ধমক দেবেন যারা আপনার জুতা বহন করে।

 

 

কিন্তু আমাদের কর্মীদের নিয়ে আমাদেরকে নিয়ে ক্ষোভ সাবধানে কথা বলবেন। ভবিষ্যতে কিন্তু আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই কমিটির বিরুদ্ধে আগামীতে শহর ও বন্দরে আরও আন্দোলন হবে এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন।

 

 

১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন মনা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার তালুকদার, মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য সাব্বির আহমেদ সাগর, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম শাকিল।

 

 

১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, রাফি আহম্মেদ, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম মৃধা, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফ, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এবিএম আমিরুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম রিপন।

 

 

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জামির হোসেন রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাহের উদ্দিন সানি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী শফিউল বাশার বাবু, রাসেল সিকদার, আল আমিন, শরিফ, সুমন, আলাফাত, শাহেদ, রাজিব, আরমান, রিদয়, খালেক, রিশাত, রিয়াদ, ইথুন সহ প্রমুখ।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর