সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২২  

 


# বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
# প্রতিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে: হাইওয়ে ওসি

 

 

ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকী। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গত কয়েকদিন মহাসড়কে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও আজ বিকেল থেকে যাত্রীদের এমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যে যেভাবে পারছেন তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছেন। এদিকে বাসের টিকেট কাউন্টারগুলোতেও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যানবাহনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ঠিকমতো যানবাহন মিলছে না। সেজন্য মহাসড়কে অনেক যাত্রীকেই যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।  


বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বেশিরভাগ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকেল থেকেই মানুষ গ্রামের দিকে ছুটছেন। এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকায় নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন মালিকরা।


চিটাগাংরোড থেকে সিলেটের বাস বাড়া নন এসিতে ৫৭০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। শিমরাইল মোড় থেকে কুমিল্লার ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা, চট্রগ্রামের ভাড়া ৫৫০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা নিচ্ছে। তাছাড়া শিমরাইল মোড় থেকে কক্সবাজারের ভাড়া ১১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০০ টাকা আদায় করছে। এছাড়া হাইস গাড়িতে কুমিল্লার ভাড়া ৮০০ টাকা নিচ্ছে। হেলপাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কিছু বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা ঈদের অজুহাত দেখাচ্ছেন। তারা বলেন, বছরে এই কয়েকটা দিনই আমরা একটু বেশি ভাড়া নেই।

 

রাইহান হাসান নামে এক শিক্ষক জানান, আজ ঈদের ছুটি দেওয়া মাত্রই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। গত দুবছর করোনার জন্য কোরবানী ঈদের বাড়ি যেতে পারে নি। এবার পরিস্থিতি ভালো থাকায় ছুটি দেওয়া মাত্রই চলে যাচ্ছি।

 

রাবেয়া ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, অনেক কষ্টে টিকিট পেয়েছি। কিন্তু এখনো বাস আসে নি। তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রচন্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে তবে আনন্দও লাগছে।

 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ যাত্রীদের চাপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামিকালও এমন চাপ থাকতে পারে। তবে যাত্রীদের চাপ যতই থাকুক না কেনো মহাসড়কে যেনো যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীরা যেনো নির্বিঘ্নে গন্তব্যস্থলে যেতে পারে সেজন্য আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর