শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রমজান উপলক্ষে খেজুরের দাম বৃদ্ধি, ক্রেতাদের ক্ষোভ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪  


আর কিছুদিন পরই শুরু হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাসের ইফতারির তালিকায় প্রধান থাকে খেজুরের নাম। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রমজানের ২-৩ আগের থেকেই বাজারে খেজুর বেশি পাওয়া যায়। এই খেজুরের নাম যেমন ভিন্ন ভিন্ন, তেমনি খেজুরের দামের মধ্যেও রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য।

 

 

কিছু খেজুরের দাম ৩০০ টাকা হলেও অন্য কিছু খেজুরের দাম ১৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত আছে। আর এই খেজুর কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। রমজানকে সামনে রেখে এই সময় খেজুরের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

 


গতকাল রবিবার (১০ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে এমনই তথ্য মেলে নগরীর দিগুবাবুর বাজারে। অধিকাংশ দোকানের প্রধান পণ্য হয়ে দাড়িয়েছে খেজুর। ঢালাও ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা নামের, নানা দামের এই বিদেশি ফল। হরেক রকমের খেজুর দেখে দোকানে ভির জমালেও, দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

 


দিগুবাবুর বাজারে দাপাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি, লুলু খেজুর পতি কেজি ৪৬০ টাকা, নাখাল খেজুর ৪০০ টাকা, গালা (বস্তা) খেজুর  বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, জিহাদী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, কালমি খেজুর বিক্রি হচ্চে ৭০০ টাকায় আবার অন্য একটি জাতের কালমি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

 


এছাড়া মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়, আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়, তিনিশিয়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, ফরিদা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, আম্বার বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকায়।

 

 

এক জাতের মাব্রুম বা কামরাঙা মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায় আবার অন্য জাতের মাব্রুম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়, ম্যাক জুয়েল নামের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকায় এবং সাফায়ী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা প্রতি কেজি।
বাজারে ইফতারির বিভিন্ন কাবারের সাথে খেজুর কিনতে আসা কাজী আজহারুল ইসলাম বলেন, খেজুর খাওয়া সুন্নাত।

 

 

রাসূল (সা.) খেজুর খুব পছন্দ করতেন। তাই আমরা মুসলমানরা রমজানে খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করি। কিন্তু এবারের খেজুরের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে হিসেবে খেজুর কেনা মুসকিল হয়ে যাচ্ছে। রমজান মাস সামনে প্রতি মুসলিম কম করে হলেও ১ কেজি খেজুর তো কিনবেই তাই সেই সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়িরা। সবকিছুর দাম বেড়েছে। এমন কিছু নাই যার দাম বাড়ে না।

 


পরিবারের জন্য খেজুর কিনতে আসা আরিফ বলেন, তিন-চার মাস আগে যে খেজুরটার দাম ছিলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এখন সেটা হাঁকা হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০টাকা কেজি। এমন যদি হয় তাহলে খেজুর কিনবো কী করে। এবার রোজায় হয় খেজুর খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে, না হলে যেখানে পাঁচ কেজি খেজুর লাগতো এখন সেখানে এক-দুই কেজি দিয়ে কাজ চালাতে হবে।

 


খেজুর বিক্রি বিষয়ে ব্যবসায়ি মাকসুদ সরকার বলেন, পাইকারিতে ১০ কেজির কার্টন প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম অনেক বেড়েছে। আমরা যাদের কাছ থেকে আসি তারা বিভিন্ন কারন দেখিয়ে দাম বাড়ায়। গত বছর দশ হাজার টাকা দিয়ে ১০ কার্টন খেজুর কেনা গেলেও সেই টাকা দিয়ে এবার ৬ কার্টনের বেশি কেনা সম্ভব না।

 


 বিক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে। কার্টনপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। গত বছরের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এতে বিক্রির পরিমাণও অনেক কমেছে।

 

 

আগে আজওয়া খেজুর ছিলো ৯০০ টাকা ৯৫০ টাকা সেখানে এখন আজওয়া খেজুর বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়। অনেকেই তো কমদামে খেজুর কেনে যার কারনে আজওয়া, মাব্রুম, ম্যাক জুয়েলের মতো খেজুর বিক্রি একটু কম হয়।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর