বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

রাজিবে শোকজ বিএনএফ’র আহবায়ক টিপুর কী হবে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৩  

 

# রাজিবের সাথে টিপুকে নিয়েও আওয়াজ উঠেছে তৃণমূলে
# মহানগরের অভ্যন্তরে বিএনএফ’র লোকজন ঢুকে গেছে

 

 

বিএনএফ নিয়ে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। দেখা যাচ্ছে দফায় দফায় তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনএফের দল থেকে যারা গাপটি মেরে বিএনপির মধ্যে এসে সংগঠনের মূল দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। যারা সেই দলের সাথে যুক্ত রয়েছে বা ছিলেন তাদের বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবিতে উঠে পরে লেগেছে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা।

 

ইতিমধ্যে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৈরি বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নাম দেখা গেছে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসকুল ইসলাম রাজীবের সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির কেন্দ্র থেকে রাজীবের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আর ৫ দিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের লিখিত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

কিন্তু একই সংঠনের আহ্বায়ক পদে দায়িত্বরত ছিলেন বর্তমান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে কোন নোটিশ জারি করা হয়নি। তা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। সেই ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের দাবি রয়েছে, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর জন্য ভিন্ননীতি কেন তাই তৃণমূলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সকল নেতাকর্মী বলছে যে অবিলম্বে আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে দলের নেতাকর্মীদের সাথে দুচোখ করা হবে।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি যখন বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না তখনই বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার তৈরি বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ঘোষণা দিয়েছে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার। ২০১৩ সাল গঠিত এই দলটিকে বিএনপি নেতারা বরাবরই 'গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র' হিসেবে উল্লেখ করেন।

 

বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির ওই নেতারা মনে করেন মূলত নির্বাচনের আগে সরকার বিরোধী যে আন্দোলন চলছে বিএনপির সেই আন্দোলন যেন নারায়ণগঞ্জে শক্তিশালী না হয় সে জন্যই বিএনপির মধ্যে গাপটি মেরে বসে আছে বিএনএফের নেতারা। জানা গেছে, ২০১৩ সালে গঠিত (বিএনএফ) নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন এই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব আর আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

 

কিন্তু আগামী ১৫ জুন মাসুকুল ইসলাম রাজীবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজীবকে ৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই বির্তকিত কমিটির আহ্বায়ক হওয়া সত্ত্বে ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে কোন নোটিশ কেন দেওয়া হয়নি তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চরম আকারে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে।

 

শুধু এখানেই তিনি ক্ষ্যান্ত থাকেননি জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পত্নী বিদিশা এরশাদের সাথে তার স্বার্থ হাসিলে এক টেবিলে বসতে দেখা যায়। এছাড়াও দলের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টিকারী হিসেবে ও ব্যাপক পরিচিত এই আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তার কারণেই সংগঠনে বিশৃঙ্খলা মারামারি নানা কর্মকান্ড হয়ে থাকে এমনই বলছে দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়ও টিপুর বিরুদ্ধে সরকারী দলের সাথে আতাঁতসহ নানা অভিযোগ থাকলেও কেন্দ্র থেকে তার বিরুদ্ধে এখনো কেন নোটিশ আসছে না এমনই প্রশ্ন করছে নেতাকর্মীরা।

 

তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, বর্তমানে যেহেতু বিএনএফ সংগঠন নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছেই তাহলে এখনো সেই সকল নেতাকর্মী যারা সেটার সাথে যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে একশ্যান নেওয়া হোক। আর বিশেষ করে এখন যেহেতু সেই সংগঠনের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্র গর্জে উঠছে এমনই ওই সংগঠনের আহ্বায়কের উপর ও গর্জে উঠা দরকার। তাহলে বাহিরের থেকে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন কোনভাবেই কোন ষড়যন্ত্রে বিএনপিকে ঠেকানো যাবে না। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর