বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১

রানার পরিবহন সেক্টরের ক্রাইম পার্টনার সুমন-রুহুল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪  

নারায়ণগঞ্জ পরিবহন সেক্টরের নতুন নিয়ন্ত্রক নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা যেন পরিবহন জগৎতে চাঁদাবাজির ইজারা দিচ্ছেন। যেমন: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকা ও চাঁনমারী এলাকায় অবস্থিত দূরপাল্লা বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ে লেলিয়ে দিয়েছেন তার রাজনৈতিক কর্মী  নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য রুহুল আমিন।


সূত্র বলছে, গত ৫ই আগস্টের পূর্বে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকা ও চাঁনমারী এলাকায় অবস্থিত দূরপাল্লা বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী গডফাদার শামীম ওসমানে ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নির্দেশে তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। কিন্তু গত ৫ই আগস্টের পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে দূরপাল্লা বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো থেকে কেউ যেন চাঁদা না প্রধান করেন এমনটা প্রচার করে আসছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন। কিন্তু চাঁদা না দেয়ার বিষয়টি ছিল সুমনের স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া ব্যতিক্রম কিছু নয়। কেননা সেই সুমনই চাঁদা না দেয়ার প্রচার করে কিছুদিনের মধ্যেই দূরপাল্লা বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো টার্গেট করে দখলের প্রচেষ্টা চালান তার সহযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য রুহুল আমিনের সহযোগীতায়।

 পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ পরিবহন সেক্টরের নয়া মাফিয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানার শেল্টারে চাষাড়া এলাকা ও চাঁনমারী এলাকায় অবস্থিত জোরপূর্বক দখল করে দূরপাল্লা বাসের কয়েকটি কাউন্টার তাদের নিয়ন্ত্রণে নেন। এর পরবর্তীতে রানার নির্দেশে নিয়মিত চাঁদা আদায়ও শুরু করে দেন নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী গডফাদার শামীম ওসমানে ভাতিজা আজমেরী ওসমানের স্টাইলে রানার সাঙ্গ পাঙ্গ খ্যাত সুমন-রুহুল। এদিকে তাদের দখল দারিত্বের অত্যাচারে আক্রান্ত হন একজন মহিলা কাউন্টার মালিক যিনি পরবর্তীতে রানাকে গডফাদার আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগেও রানা বন্ধন পরিবহনে জবরদখলে গেলে এই সুমন-রুহুলের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ ১নং বাস টার্মিনালে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া চাষাড়ায় অবস্থিত বন্ধন পরিবহনের কাউন্টারে এই সুমন-রুহুলের নেতৃত্বে চাষাড়া বন্ধন বাসে লুট করে লক্ষাধিক টাকার উপরে নিয়ে যান। এই ঘটনায় উক্ত কাউন্টারের সুপারভাইজার একটি অভিযোগও দায়ের করেন। এতে স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় নারায়ণগঞ্জ পরিবহন সেক্টরের নয়া মাফিয়া রানার পরিবহন সেক্টরের ক্রাইম পার্টনার হচ্ছেন সুমন-রুহুল।  

এই বিভাগের আরো খবর