রাস উৎসবের ইতিবৃত্ত
রণজিৎ মোদক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৩
‘রাস’ শব্দটি এসেছে ‘রস’ থেকে। ‘রস’ মানে আনন্দ, দিব্য অনুভূতি, দিব্য প্রেম। ‘লীলা’ অর্থ নৃত্য। রাসলীলা মুলত পুরাণের কৃষ্ণ ও বৈষ্ণব সাহিত্যের অতিজন প্রিয় চরিত্র শ্রীমতি রাধার অপ্রাকৃত প্রেমলীলার একটি আখ্যান। বৃন্দাবনের গোপীদের নিয়ে রাধা ও কৃষ্ণ এই রাস করেন। নানানজন নানানভাবে রাসলীলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বৈষ্ণব কবিরা নিজেদের মতো করে রাধা ও কৃষ্ণকে উপস্থাপন করেছেন তাদের রচনায়।
তাঁরা বলছেন, পরমাত্মার সাথে আত্মার মহামিলনই রাস। পরমাত্মা কে? যিনি ঈশ্বর তিনিই পরমাত্মা। তিনি শ্রীকৃষ্ণ। আত্মা কে? শ্রীমতি রাধা ও গোপীরা, যারা পূণ্যবলে কৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করেছে। ভাগবৎ পুরাণে অবশ্য শ্রীমতি রাধার কথা নেই। সেখানে বলা হচ্ছে, বৃন্দাবনের রাসমন্ডলে সেখানকার গোপীদের সান্নিধ্য দিতে কৃষ্ণ রাসলীলা করেন। তাহলে যাদের সাথে এই লীলা হয়েছিল, তাদের অনেকেই লৌকিক দৃষ্টিতে অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী, অর্থ্যাৎ বিষয়টা পরকীয়া।
কিন্তু ভাগবৎকার রাসলীলা বর্ণনার শুরুতেই বলছেন, নাহ এটা অপ্রাকৃত, মানে অলৌকিক লীলা। ভগবান নিদ্রার দেবী যোগমায়াকে আশ্রয় করে এই লীলা করেন যেখানে গোপীরা উপস্থিত থাকেন আত্মারূপে। হর্ষচরিতের টীকাকার শঙ্করের মতে, রাস হলো এক ধরণের বৃত্তাকার নাচ যা আট, ষোলো বা বত্রিশ জনে সম্মিলিতভাবে উপস্থাপনা করা যায়।
পদ্মপুরাণে (৫২/১০৩-১০৫) শারদরাস ও বাসন্তী রাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে (ব্রহ্মখণ্ড, পঞ্চম অধ্যয়) বাসন্তীরাস এবং শ্রীমদ্ভাগবত ও বিষ্ণুপুরাণে (৫/১৩/১৪-৬১) শুধুমাত্র শারদ রাসের বর্ণনা আছে। হরিবংশে ও ভাসের বালচরিতে উল্লেখ আছে যে, কৃষ্ণ গোপিনীদের সঙ্গে হল্লীশনৃত্য করেছিলেন। হল্লীশনৃত্য যদি তালযুক্ত ও বিবিধ গতিভেদে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয় তবে তাঁকে ‘রাস’ নামে অভিহিত করা হয়।
বিষ্ণুপুরাণের মতে, কৃষ্ণ রাস অনুষ্ঠান করেছিলেন গোপরমণীদের সঙ্গে। শ্রীধর স্বামী বলেছেন, বহু নর্তকীযুক্ত নৃত্য বিশেষের নাম রাস- “রাসো নাম বহু নর্তকীযুক্তে নৃত্যবিশেষঃ।” শ্রীমদ্ভাগবতের অন্যতম টাকাকার বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, -“নৃত্যগীতচুম্বনালিঙ্গনদীনাং রসানাং সমূহো রাসস্তন্ময়ী যা ক্রীড়া বা রাসক্রীড়া”। শ্রীমদ্ভাগবতের মতে, কৃষ্ণ যোগমায়াকে সমীপে গ্রহণ করেই রাস অনুষ্ঠান করেছিলেন। বস্ত্রহরণের দিন গোপিনীদের কাছে কৃষ্ণ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে তিনি রাসলীলা করবেন-
“যখন করেন হরি বস্ত্রহরণ।
গোপীদের কাছে তিনি করিলেন পণ।।
আগামী পূর্ণিমাকালে তাঁহাদের সনে।
করবেন রাসলীলা পুণ্য বৃন্দাবনে।।”
ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়াসহ অন্যান্য জায়গায়, ওড়িশ্যা, আসাম ও মণিপুরে রাসযাত্রার উৎসব বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। এই উৎসবের অংশ হিসেবে গোপিনীবৃন্দ সহযোগে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা এবং অঞ্চলভেদে কথ্থক, ভরতনাট্যম, ওড়িশি, মণিপুরি প্রভৃতি ঘরানার শাস্ত্রীয় ও বিভিন্ন লোকায়ত নৃত্যসুষমায় রাসনৃত্য বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।
রাস নবদ্বীপের শ্রেষ্ঠ উৎসব। শরৎকালে শারদোৎসবের পরেই শুরু হয় উৎসবের প্রস্তুতির বাড়বাড়ন্ত; কার্তিকী পূর্ণিময় অনুষ্ঠিত হয়। নবদ্বীপের শ্রেষ্ঠ লোকায়ত উৎসব ‘রাস’। এখানকার রাসের প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে মূর্তির বিশালতা। অপরূপ মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণ করে নানারূপে শক্তি আরাধনাই নবদ্বীপের রাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রতিটি মূর্তিতে কত কারুকার্যময় নির্মাণশৈলী, কত বিচিত্র রূপকল্পনা, কত ব্যাপক ধর্মীয় ব্যঞ্জনা, কত পণ্ডিতের গভীর উপলব্ধির সুস্থিত বহিঃপ্রকাশ, কত শিল্পীর নিখুঁত চিত্রায়ণ- যা সম্মিলিত রূপে অসংখ্য মানুষের মনোরঞ্জনে সহায়তা করে। নবদ্বীপের রাস শুধুমাত্র উৎসব নয়, ধর্মীয় দ্যোতনার এক ব্যঞ্জনাময় অভিব্যক্তি।
রাস মূলতঃ কৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব; কিন্তু নবদ্বীপের রাস প্রধানত শাক্ত রসাশ্রিত। আবহমানকাল থেকে এখানকার ধর্ম-সংস্কৃতিতে তান্ত্রিক বীরাচারের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। মদ-মাংস (পঞ্চমকারের প্রধানবস্তু) এবং আড়ম্বরের জৌলুস ব্যতীত বীরাচারের আরাধনার পূর্ণতা ঘটে না। নবদ্বীপের রাসে অনিবার্যভাবেই ঘটেছে তন্ত্রাচারের পূর্ণ প্রতিফলন।
অপরদিকে বৈষ্ণবীয় রাসের সাত্ত্বিক ধারা অনেকটাই কোণঠাসা। মন্দির অভ্যন্তরে রাধাকৃষ্ণের চক্ররাস যে হয় না তা নয়, তবে তা জাঁকজমকপূর্ণ শাক্তরাসের পাশে অনেকটাই ম্রিয়মান। জনশ্রুতি প্রচলিত আছে যে, চৈতন্যদেব রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসবের সূচনা করেছিলেন নবদ্বীপে। একথা যদি সত্যি হয় তাহলে স্বীকার করে নিতে হয় যে, ষোড়শ শতাব্দীর প্রারম্ভেই রাসের সূচনা হয়েছিল।
তবে চৈতন্যদেবের সন্ন্যাস গ্রহণের পর নবদ্বীপের বৈষ্ণব আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। গৌরাঙ্গ-পরিজনেরা বাধ্য হয়ে নবদ্বীপ ত্যাগ করে স্থানান্তর গমন করেন। ফলে বৈষ্ণবীয় উৎসব অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নবদ্বীপে যে রাস উৎসবের সূচনা হয় তা অভিনব এবং বাংলার ধর্মীয় ইতিহাসে তা অদ্বিতীয়।
এগুলি পুরাণের কথা। রাসের ব্যাখ্যা পেতে চাইলে আমাদের ফিরে যেতে হবে বাংলার ভাবান্দোলন যার সূত্রপাত হয় মূলত দ্বাদশ শতকের কবি জয়দেব ও তৎপরবর্তী চন্ডীদাস (১৪শ শতক) ও বিদ্যাপতির (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) বৈষ্ণবপদ রচনার মধ্য দিয়ে। বৈষ্ণবরা কৃষ্ণকে দেখেছেন স্রষ্টা আর রাধাকে দেখেছেন সৃষ্টির প্রতিনিধি হিসাবে। স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর সহজতম তরিকা হল প্রেম।
দীর্ঘকাল ধরে সুফি সাধকরা বাংলায় ‘ইশক’ এর মাধ্যমে খোদায় লীন হয়ে যাওয়ার ধারনাটি প্রচার করছিলেন। সুফি-সাধকরা বলতেন, ‘হক্ এর সঙ্গে জীবের মিলনের একটিই পথ, তা হল প্রেম বা ইশক’। নদীয়ার শ্রীচৈতন্যের রাধাভিত্তিক ভাবান্দোলনের সাথে এই দর্শনের গভীর যোগসূত্র পাওয়া যায়। চৈতন্যদেব রাধার মতো পরমাত্মায় লীন হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। মুলত শ্রীচৈতন্য জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের ধারনাটি লাভ করেছিলেন বাংলার সুফি-সাধকদের কাছ থেকেই।
মণিপুরিদের রাসলীলাটি মুলত একটি নাট্য আঙ্গিক। বলা ভাল ক্লাসিক্যাল নাট্য আঙ্গিক। এমনিতে মণিপুরের সাঙ্গীতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। ধারণা করা হয় এদের ঐতিহ্যগত লোকনৃত্যই কালক্রমে ধ্রুপদী নৃত্যধারায় পরিণত হয়েছে। মণিপুরিদের রাস ও রাসের থিম ভারতবর্ষে প্রচলিত অন্যান্য রাসের চেয়ে আলাদা। মণিপুরি পুরাণ লেখকরা দাবি করেছেন, মিথলজি অনুসারে মণিপুর রাজ্যই হলো সেই স্থান যেখানে রাধাকৃষ্ণের অনুসরনে শিব পার্বতী রাসলীলা করেন।
পুরাণের ভাষ্য অনুযায়ী মণিপুরের কৌব্রু পর্বতকে রাসলীলার উপযুক্ত করে তোলার জন্য শিব সূর্য, চন্দ্র এবং পাঁচটি গ্রহকে আহ্বান করেছিলেন। মণিপুরি ভাষায় এদের নাম হলো নোঙমাইজিঙ (সূর্য), নিঙ্থোউকাপা (চন্দ্র), লেইপাক্পোকপা (মঙ্গল), য়ুমসাঙকেইসা (বুধ), সাগোলসেন (বৃহস্পতি), ইরাই (শুক্র) এবং থাঙজা (শনি)। সাতদিন সাতরাত শিব-পার্বতীর রাসলীলা অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানের সঙ্গীত সহযোগী ছিলেন গন্ধর্ব এবং অন্যান্য দেবতারা। রাত্রিবেলার অনুষ্ঠানের জন্য নাগরাজ অনন্তদেব তাঁর মাথার মণি দান করেন। নাগদেবের মণির নামানুসারে এই স্থানের নাম হয় মণিপুর।
পুরাণকাররা তাদের মতো করে ইতিহাস রচনা করেছেন। বস্তুত এই পুরাণগুলি লেখা হয়েছে দ্বাদশ শতকের দিকে যখন শৈবধর্মের প্রকট প্রভাব ছিল। ১৭০৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পামহৈবা মণিপুরের রাজত্ব লাভের পর এই অঞ্চলে শৈবমতাদর্শের লোকেরা একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এই সময় রাজা পামহৈবা ভিন্নমতের গ্রন্থাদি ও নিদর্শন ধ্বংস করে দেন। এর ফলে মণিপুরের ইতিহাসও ধ্বংস হয়ে যায়।
কিন্তু মণিপুরের বৈষ্ণবরাও শিবকে শ্রদ্ধা এবং পূজা করতো ফলে শিব-পার্বতীর লীলাভিত্তিক গীত ও নৃত্য থেকে যায়। তারপর ইতিহাসের এক সময়ে বাঙলার ভাবান্দোলন যখন মণিপুর গিয়ে পৌঁছে তখন বৈষ্ণব পদকর্তাদের রচনাবলী মণিপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এগুলির উপর ভিত্তি করেই রচিত হয় মণিপুরি রাসলীলার আঙ্গিক।
ভারতবর্ষের শাস্ত্রীয় নৃত্যকলার সাথে মণিপুরের লোকনৃত্যের ঐক্যতানে গড়ে উঠে এই নব্য ক্লাসিক্যাল শিল্পআঙ্গিক। রাধাকৃষ্ণের দর্শন গিয়েছিল বঙ্গ থেকেই। মণিপুরি রাসের গানগুলিও বাংলা ও ব্রজভাষায়, অধিকাংশই বাঙ্গালি বৈষ্ণব কবি ও পদকর্তাদের লেখা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে রাসলীলা যেটি ছিল দ্বাপর যুগের ঘটনা এবং যার সংঘটন স্থান ছিল শ্রীব্রজধাম, সেটাই এই যুগে এসে হয়েছে পূণ্যতিথি রাসপূর্ণিমা। ভারতবর্ষের নানান স্থানের কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণবরা নানানভাবে রাস উদযাপন করে থাকেন। শাক্তরা পূর্ণিমার এই দিনে দেবদেবীদের নানান মূর্তি বানিয়ে পুজা দিত। নবদ্বীপের রাস উৎসবে পটুয়াদের দিয়ে বড় বড় পট আঁকিয়ে মঠে-মন্দিরে প্রদর্শন করা হত।
তাই রাসপূর্ণিমার আরেক নাম ‘পট পূর্ণিমা’। আর ওপরে গরুর গাড়ির চাকার থেকেও বড় বড় কাঠের চাকা তৈরি করে তার মাঝখানে রাধাকৃষ্ণকে বসিয়ে চারপাশে অষ্টসখীর মূর্তি বসানো হত। আর ধীরে ধীরে সেই চাকার সাথে অষ্টসখীদের ঘোরানো হত। এই ছিল রাস। এখনও অনেক অঞ্চলে তাই আছে।
ভারতবর্ষে নাট্যাভিনয় ও নৃত্যগীতনির্ভর রাস উৎসবের প্রবর্তন করেন মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র সিংহ (১৭৪৮-১৭৯৯)। ভাগ্যচন্দ্র সিংহ রাসনৃত্যকে নাট্যাঙ্গিকে সাজান। তার উদ্যোগে মণিপুর রাজ্যে প্রথম রাসলীলা মঞ্চস্থ হয় ১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে। সেই রাসে তার কন্যা রাজকন্যা বিম্ববতী রাধার ভূমিকায় অভিনয় করেন, তিনি নিজে মৃদঙ্গবাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। জনশ্রুতি আছে, ভাগ্যচন্দ্র স্বপ্নাদ্রিষ্ট হয়ে রাসলীলা করার তাগিদ পান।
রাসের জাঁকজমকপূর্ণ ও শৈল্পিক কারুকার্যখচিত পোষাকগুলোও তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন বলে মণিপুরি লেখকদের বয়ান থেকে জানা যায়। বিষয়টার এরকম ব্যাখ্যা হতে পারে যে, ভাগ্যচন্দ্র একজন বড় মাপের চিন্তাবিদ, দার্শনিক এবং শিল্প-সাহিত্যের অনুরাগী রাজা ছিলেন। রাসনৃত্যকে নাট্যাঙ্গিকে রূপ দিতে তিনি অহর্নিশ পরিশ্রম করেছেন।
পঠনপাঠন ধ্যান করতে করতে তিনি মন্দিরেই ঘুমিয়ে পড়তেন। রাসের নাচ, গান, সুর, তাল ও মুদ্রাগুলোকে তিনি একটি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন যার নাম ‘গোবিন্দ সঙ্গীত লীলাবিলাস’। রাজা ভাগ্যচন্দ্রের পৌত্র চন্দ্রকীর্তি সিংহাসনে বসে ১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দে। তাঁর সময়ে রাসনৃত্য আরও সমৃদ্ধতর হয়ে উঠে।
রাসনৃত্যে সাধারণত রাধা ও কৃষ্ণের ভূমিকা দেয়া হয় শিশুদের, যাদের বয়স পাঁচের কম। মনিপুরীদের বিশ্বাস, এই বয়সের পর শিশুদের দৈবশক্তি লোপ পেয়ে যায়। তবে প্রকৃত নাটনৃত্য ও গীত পরিবেশন করে তরুণীরা, যারা রাধার সহচরী হিসাবে মঞ্চে আসে। রাসনৃত্যের কেন্দ্রবিন্দু ভঙ্গি পরেং অর্থাৎ নৃত্যমালিকা। রাসলীলা শুরু হয় নট সঙ্কীর্তন দিয়ে।
গোবিন্দজীর মন্দিরের বিশাল মণ্ডপে আরাধ্য দেবতার মূর্তির সামনে শিল্পীরা মৃদঙ্গ ও করতাল সহযোগে সঙ্কীর্তন করে। বিশেষ পোশাকে সাজেন শিল্পীরা। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য বন্দনা দিয়ে শুরু হয়ে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ব্যাপী রাসসঙ্গীত অনুষ্ঠিত হয়।
সাধন জগত অনন্ত প্রেমময়। সাধন জগতের পথিক যারা তারা ক্ষণ সুখ পরিত্যাগ করে অনন্ত সুখ সাগরে নিজকে নিবেদন করেন। যা ব্রজের গোপীরা আপন পতি-পুত্র ধন সম্পদ পরিত্যাগ কওে জগত পতির শ্রীচরণে আত্ম নিবেদন করেছিলেন।
‘এখনো সে বৃন্দাবনে বাঁশি বাজেরে
বাঁশির সুরে ময়ুর নাচেরে”
রাসলীলা হচ্ছে সাধন জগতের গোপন তত্ত্ব কথা। সাধন জগতে সবাইকে আরাধিকা হতে হবে। তবেই সে গোবিন্দ লাভ হতে পারে॥ - হরেকৃষ্ণ। লেখক- রণজিৎ মোদক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
- প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত
- পতনের অপেক্ষায় ওসমান দোসররা
- উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
- প্রশাসনের নীরবতায় ফুটপাত-সড়ক দখলে হকাররা
- বিষন্ন হাতেম, তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা
- শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় জমজমাট না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
- ‘মাথা চলে গেছে কিন্তু লেজ রয়ে গেছে’
- শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না.গঞ্জ রাইফেল ক্লাব
- বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
- রূপগঞ্জে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি
- ফতুল্লা থানা বিএনপির বিজয় র্যালী
- আশার নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
- সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম মারা গেছেন
- বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ
- বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা জানালেন ড. ইউনূস
- বিজয় দিবসে দেখা নেই দাপুটে নেতাদের
- বিসিকে হাতেম গ্রুপের লঙ্কাকাণ্ড
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো : রোজেল
- আজ মহান বিজয় দিবস
- এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং
- আলীরটেক-বক্তাবলীতে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
- ছাত্র জনতার আকাঙ্খা পূরণ করতে পারলেই আমরা সার্থক হবো: ডিসি
- শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেন দলীয়করণ না হয়: গিয়াসউদ্দিন
- না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা - পদে বহাল থাকতে ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের নানা পায়তারা
- প্রেসক্রিপশনে সভাপতি হয়েই দোসর হাতেমের স্ট্যান্টবাজি শুরু
- এবার ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড
- গুম তদন্ত কমিশনের র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
- এই সরকার সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- বিসিকে হাতেম গ্রুপের লঙ্কাকাণ্ড
- নিজেকে বাঁচাতে সমন্বয়কদের পেছনে ছুটছেন হাতেম
- বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
- চতুর্মুখী চাপে ঝুট ব্যবসায়ী হাতেম
- হাতেমের ভূমিদস্যুতায় ম্যানেজার হাসান কোটি কোটি টাকার মালিক
- ‘পালাবো না’ বলা নেতারাই এখন পলাতক
- পদে বহাল থাকতে ঝুট ব্যবসায়ী হাতেমের নানা পায়তারা
- ওসমানদের কালো থাবা থেকে মুক্ত হচ্ছে না.গঞ্জ ক্লাব
- সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম মারা গেছেন
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বহিষ্কার
- বিজয় দিবসে দেখা নেই দাপুটে নেতাদের
- ফতুল্লা থানা বিএনপির বিজয় র্যালী
- না.গঞ্জ ক্লাব নির্বাচন
আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা - আশার নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
- বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ
- প্রেসক্রিপশনে সভাপতি হয়েই দোসর হাতেমের স্ট্যান্টবাজি শুরু
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা জানালেন ড. ইউনূস
- আজ মহান বিজয় দিবস
- ফতুল্লা থেকে অপহৃত দুই শিশুকে বরিশাল থেকে উদ্ধার
- গুম তদন্ত কমিশনের র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
- শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত
- হজ থেকে ফিরে হাজীদের কিছু আমল
- ইজতেমা আয়োজনকে নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা
- আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না
- ১০ মহরম ও আশুরা উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
- লাইলাতুল কদরের নামায আদায়ের নিয়ম
- লাঙ্গলবন্দ স্নান এবং নদের উৎপত্তির ইতিহাস
- উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র সোনারগাঁয়ে
- নামাজে রিং বেজে উঠলে করনীয় !
- ধর্মীয় চেতনার প্রতীক কদম রসুল দরগাহ
- রমজানের নতুন চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী
- মক্কা-মদিনার নতুন খতিব ও ইমাম
- আগামীকাল রাতে পবিত্র শবে মিরাজ
- রাস উৎসবের ইতিবৃত্ত
- আজ বড়দিন উৎসব