মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

লকডাউনে যাত্রী কম থাকায় রিকশাচালকরাও অসহায়

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১  

করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে।এই লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু চলমান লকডাউনে  সরকারি - বেসরকারি সকল অফিস বন্ধ রয়েছে। যার কারনে বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকেরা।এমতাবস্থায় তাদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

 

কারণ দু'বেলা অন্নের সংস্থান করাই তাদের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল,মিজমিজি ও সাইনবোর্ড এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী কম থাকায় বেশিরভাগ রিকশাচালক বসে থেকে অলস সময় পার করছেন। মিজমিজিতে  লুৎফর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন,লকডাউনের আগে কামাই ভালাই আছিল। তখন প্রতিদিন ৮০০-৯০০ ট্যাকা থাকতো। আর এহন সকালে রিকশা লইয়্যা বাইর হইয়া আড়াই ঘন্টায় ৬০-৭০ ট্যাকা কামাই করছি।

 

এই সময়ে ৩৫০-৪০০ ট্যাকা কামাই হয় প্রতিদিন। এর মধ্যে ৩০০ ট্যাকা জমা দেওন লাগে গ্যারেজে। তিনি আরো জানান, কঠিন সময় কাটতাছে এহন। ঋণ কইরা বাসার লাইগ্যা বাজার সদাই করণ লাগে। লকডাউনে কষ্টে আছি। সাইনবোর্ড এলাকার ইউসুফ নামে এক রিকশাচালক জানান, ভোর সকালতে দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালায়া ২০০ ট্যাকা কামাই করলাম। লকডাউনের শুরুরতেই বাজার খারাপ হইয়্যা গেছে। সারাদিনে রিকশা চালায়া ৪০০-৫০০ ট্যাকা আয় হয়।এর মধ্যে ২৬০ ট্যাকা জমা আছে।লকডাউনের আগে জমা দিয়াও ৪০০-৫০০ ট্যাকা থাকতো।

 

আর এহন এই ট্যাকা রোজগার করতেই কষ্ট হইয়া যাইতাছে। আবার মাহাজনেও (রিকশার মালিক) কোন ছাড় দেয় না। জমার ট্যাকা কম নেয় না। এহন কোনোরকমে  সংসার চলতাছে আরকি! শিমরাইল মোড়ে মো. শামীম শেখ নামে এক রিকশাচালক জানান,সকাল ৭ টা থাইকা দুপুর ১ টা পর্যন্ত রিকশা চালায়া ২৫০ ট্যাকা আয় করছি। লকডাউনের আগে দিয়া সকালতে দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালাইলে ৪০০-৫০০ ট্যাকা থাকতো।এহন যে অবস্থা চলতাছে, রিকশার জমার ট্যাকা উডাইতেই কষ্ট হইতাছে।রাস্তাঘাটে তেমন যাত্রীও নাই।
 

এই বিভাগের আরো খবর