লাদাখ সীমান্তে চীনের বাংকার তৈরি, তিন বাহিনীর সাথে মোদির বৈঠক

আবারও ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা। পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা মুখোমুখি দুই দেশের সৈন্যরা। এরই মধ্যে চীন বাংকার তৈরি করেছে। অস্থায়ী পরিকাঠামোও তৈরি করেছে। সেখানে তারা দুই থেকে আড়াই হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। অন্য দিকে ভারতও একইভাবে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে।

এদিকে, সীমান্তের উত্তেজিত পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধ্যায়  চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন মোদি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে লাদাখ নিয়ে একদফা বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।তিনবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করেন তারা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনাথকে বিস্তারিত তথ্য দেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভান।

চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া নিয়ে একাধিকবার চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে তা নিয়ে নতুন করে দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। গত ৯ মে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নাকু লা সেক্টরে চীনা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। এতে ভারতীয় বেশ কয়েকজন সেনাসদস্যও আহত হয়।

পরে দু’পক্ষের প্রধানদের হস্তক্ষেপে সাময়িকভাবে উত্তেজনা কমলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং গত কয়েক দিনে প্যাংগং ও গালোয়ান উপত্যকায় সেনা মোতায়েন করেছে দু’পক্ষই। গালোয়ান নদীর তীর বরাবর তাবু ফেলেছে চীন। শুরুতে সেখানে দু’-তিন হাজার সেনা মোতায়েন করলেও, তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে।

গতকাল লাদাখ সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। এতে দেখা যায়, প্যাংগং থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের নারি গানসা বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ চলছে। বিমানঘাঁটির টারম্যাকে সারি দিয়ে চারটি যুদ্ধবিমান দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে একটি ছবিতে। সেগুলো চীনা সামরিকবাহিনীর জে-১১ এবং জে-১৬ যুদ্ধবিমান হতে পারে বলে ধারণা করছেন ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞরা।