মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

শামীম ওসমান ও শাহ নিজামের অপকর্মের হাতিয়ার কে এই মিন্টু

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের অত্যান্ত আস্থাভাজন ও তার সকল অপকর্মের হাতিয়ার ছিলেন শাহ নিজাম । তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক যার রাজনৈতিক কতৃত্ব থাকার কথা থাকলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন ফতুল্লাতেই সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ফতুল্লা ও কুতুবপুর ইউনিয়নেই তার সবচেয়ে বেশি দখলদারি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসাসহ নানান অপকর্ম সংগঠিত হতো এই শাহ নিজামের সন্ত্রাসী বাহীনির দ্বারা। আর এই সন্ত্রাসী বাহীনির মাধ্যমে প্রতি মাসেই শাহ নিজাম একটি মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা ভোগ করতেন।

 

 

এমনকি শাহ নিজাম নিজেই অনেক ভূমিদস্যুতা সরাসরি তিনি নিজে থেকে করাতেন। বিশেষ করে এ সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য তাদের এক একটা এরিয়া ভাগ করে দিয়েছেন এই  সন্ত্রাসী শাহ নিজাম। আর এই শাহ নিজামকে তার অপকর্ম করতে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কথিত হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন মিন্টু ভূইয়া।

 


তবে এই সন্ত্রাসী মিন্টু সকলকে ছাড়িয়ে ভূইগড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি দখলবাজ হিসেবে পরিচিতি ছিলো । কুতুবপুরের প্যানেল চেয়াম্যান আল মামুন মিন্টু ভূইয়া তার টাকার প্রভাবে কোন রকম জনপ্রিয়তা ছাড়াই কেন্দ্র  দখল করে জালিয়াতির মাধ্যমেই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য । তার বাড়িতে কিছুদিন পরই দাওয়াত দিতেন নারায়ণগঞ্জের ৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও শাহ নিজামকে।

 

 

মিন্টু ভূইয়া এলাকায় অনেকে অসহায় মানুষের জমি দখল করে তাদেরকে রাস্তায় বসিয়েছে। শুধু তাই নয় তার এই সকল অপকর্মের সহয়োগীতা করতেন শাহ নিজাম। আর এই সকল কিছুর বাগবাটোয়ারা করা হতো নম পার্কে।

 


আল মামুন মিন্টু ভূইয়া কুতুবপুরে এক সময় বিএনপির রাজনৈতির সাথে জড়িত থাকলেও আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে এমনকি থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের টাকা দিয়ে  অল্পতেই পেয়ে যান আওয়ামী লীগের থানা পর্যায়ের সদস্য পদ। আর এই সদস্য হওয়ার পার থেকেই নিজেকে জাহির করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়।

 

 

আর তার মূল টার্গেট ছিলো পুরো কুতুবপুরকে শামীম ওসমান ও সন্ত্রাসী শাহ নিজামের নির্দেশনায় দখলদারি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ নানান অপকর্মে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রনে রাখতো এই কথিত আওয়ামী লীগ নেতা। শুধু তাই নয় মিন্টু ভূইয়া ওসমান পরিবারের এতোটাই কাছের হয়েছিলো কুতুবপুরে শামীম ওসমান ও শাহ নিজাম কুতুবপুরের কোথাও কোন প্রেগ্রাম হলে মিন্টু ভুইয়ার বাড়িতে পার্সোনালি খাওয়া দাওয়া করতে যেতেন। এগুলা করেই থেমে থাকেনি এ প্যানেল চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মানুষের জায়গা দখল করে এবং মানুষকে জিম্মি করে অল্প টাকায় যায়গা কিনে নিতেন।

 


তারই অত্যাচারের শিকার এক ভূক্তভোগী নারী জানান, আমাদের পৈত্যিক সম্পত্তি কাগজপত্র সবকিছু ঠিক থাকলেও আমরা আমাদের জায়গাতে দখলে যেতে পারছিনা। যখনই যেতাম হুমকি ধামকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখাতো। এমনকি জায়গার কাছে গেলে পিটিয়ে মেরে ফেলার মতো হুমকি দিতো এখনো আমরা আমাদের জায়গাতে যেতে পারিনি। তারা দখল করে নিজেদের লোক দ্বারা বসবাস করাচ্ছে।

 


ইতিমধ্যেই গত ৫ তারিখ শেখ হাসিনা সরকার পতন হলে অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধ ফতুল্লা থানাতেও হত্যা মামরা দায়ের করা হয়েছে। তবে এলাবাসীর একটাই দাবি এই ভূমিদস্যু ,সন্ত্রাসী মিন্টু ভূইয়াকে যেন অতিদ্রুত খূজে বের করে যেন আইনের আওতায় আনা হয় তাহলেই এই কুতুবপুরের মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি