শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইশা ছাত্র আন্দোলন এর মানবন্ধন

যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে নগরীতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০জুন) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ ইকবাল হুসাইন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মাদ তারেক হাসান এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দ্বীনি সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ। এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সুশিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় শিক্ষার্থীরা যেখানে তাদের পড়াশোনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা আজ তা না করে, তাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে শিক্ষামন্ত্রী। গত ১৫মাস যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ছাত্রসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুলে দিতে হবে। নয়তো আজ শুধু শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে আমরা আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে অভিভাবকদের সাথে নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। তাই সরকারকে বলবো অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন, অন্যথায় আজকের এই আন্দোলন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।

মানববন্ধনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবদুস সোবহান, সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান রোমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোস্তফা সরকার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সেক্রেটারি মুহাম্মাদ রমজান আলী, ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুয়াম্মার হাসান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ শরিফ হোসাইন, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ফাহিম হোসাইন, প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নূরুজ্জামান প্রমুখ।

পরে মানবন্ধন শেষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।