রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শীতে কাবু নিম্নআয়ের মানুষ

তানজিলা তিন্নি

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪  


গত কয়েক দিন ধরে নগরীতে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বিপাকে পড়ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। নগরীতে সারা দিন বাতাস ও কুয়াশার বিরাজ থাকার ফলে মানুষের দৈনিক কাজে ঘটছে বিপত্তি। যার ফলে এসব নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের উর্পাজনে ঘটছে ব্যঘাত। একটু কাজ করলে শীতে কাবু হয়ে পড়ে মানুষ। বিশেষ করে শীতের প্রোকপে নিম্ন আয় ও ছিন্নমূলের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

 

 

রিক্সাচালক সহ নানা যানবাহন চালকের রোজগারে পড়ছে শীতের বাতাস। মানুষ খুব জরুরী কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে কম। যার ফলে এসব যানবাহনে যাত্রী কমেছে। শীতে অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও কাজের সন্ধানে খুব সকালে বের হতে হয় এসব নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে শীত বাড়ায় নানা ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। সকাল থেকেই শীতে জবুথুবু হয়ে থাকে মানুষ।

 

 

ভোরের আলো ফুটলেও মধ্যবেলার আগে দেখা মেলে না সূর্যের। সারাদিন শীতের রাজ থাকলেও দুপুরে দিকে সূর্যের দেখা মিলে তবে তার দাপট থাকে কম। সন্ধার পর কনকনে ঠান্ডায় মানুষ আরো বিপাকে পরে। সারা দিনে মধ্যবেলা ছাড়া আর দেখা পাওয়া যায় না সূর্যের।

 


২ নং রেল গেট এলাকার পায়ে চালিত রিক্সা চালক ফিরোজউদ্দিন এই শীতেও বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন “ভোর সকালে বের হইছি রিক্সা নিয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মানুষের দেখা পাই নাই। এই শীতে কোনো মানুষ বেশি একটা দরকার ছাড়া বের হয় না। এখন নিজের ২ পয়সা রোজগার হইবো এই আশায় গাড়ি নিয়া বের হইছি। মানুষ কম থাকায় আমগো আয়ও নাই।

 

 

এখন কাম তো করতেই হইবো না করলে খামু কী? শীতে কষ্ট তো হয়। কিন্তু শীতের কষ্টে থেকে বেশি কষ্টো হয় পেটের ক্ষুদায়। আর আমগো মতো গরিব মানুষ বাড়িতে কাথাঁ মুড়ি দিয়া ঘুমাইলে না খাইয়া মড়তে হইবো ”।

 


নিতাইগঞ্জের একজন দিনমজুরের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, সারাদিন কাজের খোজে থাকি। শীতের কথা তাই মাথায় থাকেনা। একদিন কাজ না করলে সেদিন খাবার জোটে না। শীতে বাড়িতে বসে থাকা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। কষ্ট করে শেিতর মধ্যে প্রতিদিন বের হই কিন্তু কাজ পাই না। শীত বাড়ার কারণে আমাদের কাজ ও কমে গেছে। আবার শীতের মধ্যে কোনো কাজ ভালো ভাবে করতে পারি না। ঠান্ডায় হাত পা জমে যায়। কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।

এই বিভাগের আরো খবর