শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১৩ ১৪৩১

শীতের আসার আগেই গরম কাপড় বিক্রি জমজমাট

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৪  


শীতের বাতাসের আভাস বই শুরু করেছে প্রকৃতিতে। তার সাথে সাথে ফুটপাতেও শীতের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের বিবি রোডর দুপাশের ফুটপাতে জুরে হকাররা বসেছেন শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে। শীতের আগেই গরম কাপড় কিনতে শুরু করেছেন অনেকেই। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপনি বিতান সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে শীতের গরম পোশাক। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, মোজা বিক্রি ধুম পরেছে।

 


গতকাল বিকালে সরজমিন শহরের চাষাঢ়া হকার্স মার্কেট, সমবায় মার্কেট, সায়েম প্লাজা ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো তাদের সাধ্য অনুযায়ী শীতের তীব্রতা বাড়ার আগে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন। ভালোমানের এবং কম দামে পছন্দের শীতবস্ত্র কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। আবার বিক্রেতারাও খুশি শীতের আগের তাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে। কারণ শীত পড়তে পড়তে এভাবে বিক্রি হলে এবার তাদের লাভের পরিমান ভালো হবে।

 


বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাথে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন কাউসার নামে এক হকার। তিনি বলেন, এ মাসের শেষ দিক থেকে শীত পরতে শুরু করবে। বন্দর বা তার আশেপাশে গ্রামঞ্চলগুলোতে এখনই ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। বেচাকেনাও চলছিল ভালো । মানুষ কম দামে ভালো জিনিস পেয়ে খুশি, আমরাও বিক্রি করতে পেরে খুশি।

 


অপর হকার আবু রায়হান বলেন, বাচ্চাদের আইটেম সোয়েটার, মোজা, জুতা এগুলোই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বড়দের কানটুপি, হাত মোজা, মাফলার, জ্যাকেট, সুয়েটার, হুডি বিক্রি হচ্ছে ভালোই।

 


তার কথার সুর ধরে রশিদ মিয়া বলেন, ট্রাউজার, লেডিস সোয়েটার, বাচ্চাদের সেট মাল, বড়দের হোসিয়ারির টারগিজ কাপড়ের জ্যাকেট এবং উলের কিছু কানটুপি তুলেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। বড় বড় মার্কেটে যে সোয়েটার হাজার থেকে পনেরশ’ টাকায় বিক্রি হয় আমরা ওই একই জিনিস পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকার মধ্যে বিক্রি করি, তাই মার্কেটের তুলনায় আমাদের থেকে মানুষ কম দামে কিনতে পারে। এখন মার্কেট যে ক্রেতাদের ভীড় দেখন তা শুধু শীতের পােশাক কিনার জন্য।

 


হালিমা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, ছেলে ও মেয়ের জন্য সোয়েটার কিনেছি। আমার জন্য কিনেছি উলের মোজা। দাম তেমন একটা বেশি না। কম দামেই কিনতে পেরেছি। আমাদের তো আর বড় বড় মার্কেট থেকে কেনার সামর্থ্য নাই। ফুটপাথই আমাদের ভরসা।

 


বন্দর নবীগঞ্চ এলাকা থেকে আসা হানিফ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ৮০০ টাকায় একটি জ্যাকেট ও ১৫০ টাকা দিয়ে একটি কানটুপি কিনেছি। আমাদের ঐদিকে শীত ভালো পড়েছে। শহরের চেয়ে নদীর পূর্বপাড়ে অনেক ঠান্ডা । তাই শীতের কাপড় কিনতে আসছি।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর