মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

শুষ্ক মৌসুমেও জলাবদ্ধ মহিলা কলেজ : অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ছাত্রীরা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ১৪ মে ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : বর্ষার দোহাই শেষে শুষ্ক মৌসুম শীতকালেও নারায়ণগঞ্জের মহিলা কলেজের মূল ফটকে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারোমাসি জলাবদ্ধতার কারণে কলেজ শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে কলেজে প্রবেশ করতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের অন্ত থাকেনা।

 

সবার একটাই প্রশ্ন মহিলা কলেজের পানি সরবে কবে? কলেজ খোলার প্রতিদিনই মহিলা কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের এ দুর্দশা ছিল চোখে পড়ে। সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিদিনই মূল ভবনে প্রবেশ করতে প্রতিদিনই এমন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সাধারণ সমস্যা হলেও শীতকালের শেষ পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের এমন দুর্ভোগ পোহানোর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছে। নারায়ণগঞ্জের অন্যতম বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যত এ সরকারি মহিলা কলেজ। হাজার শিক্ষার্থীদের এ দূর্ভোগ ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংকটের কারণে জলাবদ্ধতা হিসেবে থমকে রয়েছে। যার ফলে প্রায় প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীদের এই ময়লা পানি মাড়িয়ে কলেজে আসা যাওয়া করতে হয়।

 

এসময় শিক্ষার্থীদের ময়লা কালো পানিতে পা ভিজিয়ে কলেজ ড্রেস ভিজিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী কলেজে আসে না বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষা কিংবা বিশেষ ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে এসব পানি মাড়িয়েই কলেজে যেতে হচ্ছে। কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, এ কলেজে ভর্তির পর থেকেই মূল ফটকের সামনে এ জলাবদ্ধতা দেখছি। বর্ষার মৌসুমে এ দুর্ভোগ বাড়ে। তবে শীতকালেও এ জলাবদ্ধতা আমাদের সকলকে অনেক ভোগায়। এ পানি মাড়িয়ে অনেকের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। তাই অনেকে কলেজে কম আসে। একান্ত প্রয়োজন না হলে অনেক শিক্ষার্থী কলেজেই আসে না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ কলেজে পড়ে অথচ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অনেকে এসে আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের এ সমস্যা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে রয়েছে।

 

কলেজে ঢুকতে ও বাহির হতে এসব নোংরা পানি আমাদের রোজ মাড়িয়ে যেতে হয়। কলেজের শিক্ষার্থী কাশফিয়া জামান নিপা বলেন, বৃষ্টি হলেই কলেজের গেটের সামনে পানি জমে যায়। এটা বর্ষার সমস্যা, আর শীতকালে পানি জমে থাকলে তা ড্রেনেজের সমস্যা। সোজা কথা এতোগুলো শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে কারো কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। আমরা যখনই কোন অনুষ্ঠান হয় এ সমস্যাটার কথা বলি। কিন্তু তা আশ্বাস দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়। পত্রিকায়ও অজ¯্র লেখা এসেছে, কোন লাভ হয় নি। কর্তৃপক্ষ এ জলাবদ্ধতাকেই কলেজের সৌন্দর্য মনে করছে। অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, কলেজটি নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে নামকরা কলেজগুলোর মধ্যে একটা।

 

অথচ ড্রেনেজের দোহাই দিয়ে হাজার শিক্ষার্থীদের ভুক্তভোগী করছে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা টুকু করারও প্রয়োজন মনে করে না তাঁরা। এটা শুধু দুর্ভোগে থেমে নেই। এটাকে খামখেয়ালীপনাও বলা চলে। একজন আরেকজনের উপর দায় হস্তান্তর করে। অজুহাতের কোন শেষ নেই। শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধাটুকু তারা কেন দেখে না। জলাবদ্ধতার কারণে কলেজে না আসলে শিক্ষার্থীদের কৈফিয়ত দিতে হয়। তাহলে আমাদের সন্তানদের কোন দিকে যাবে। এতো ভালো কলেজ অথচ এর ব্যবস্থাপনা এতো বাজে ধরণের হবে তা আমরা আশা করি না।

এই বিভাগের আরো খবর