মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

সংখ্যালঘুর বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  


তারা ছিলেন সাবেক শামীম ওসমানের অত্যান্ত ঘনিষ্টজন। এ পরিচয়ে এক সময় দাঁপিয়ে বেড়াতেন ফতুল্লা থানাধীন পুরো ভুঁইগড় এলাকা। শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো তারা। তখন শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন হওয়া ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারতো না।

 

 

ভুঁইগড়, রঘুনাথপুর, মাহমুদপুর ও তাইজউদ্দিন মার্কেটসহ প্রায় সব এলাকাতেই তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তারা বিভিন্ন বিচার শালিসের নামেও চালাতো প্রহসন। এসব অপকর্ম বহাল রাখার জন্য মাহমুদপুর এলাকায় আব্দুল রহমান বিশ্বাস গড়ে তুলে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী।

 

 

এ বাহিনীগুলো অন্যতম নেতা ছিলো রুহুল, মো: নাসির, আতাউর, হালিম, মোরশেদ, জাকির, নাজমুল ও নাদিম নামে আরও সন্ত্রাসীরা। আর এসকল সন্ত্রাসী লিডারদের গডফাদার ছিলো শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আব্দুল রহমান বিশ্বাস।

 


তবে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পরই দেশ ছেড়ে স্বপরিবারে পালিয়ে যায় শামীম ওসমান। এ ঘটনায় ওই স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা ভাবছিলো সন্ত্রাসী আব্দুল রহমান বিশ্বাসের হাত থেকে হয়তো এবার তারা রক্ষা পাবেন। কিন্তু না। ওস্তাদ শামীম ওসমান পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই খোলসপাল্টে এসকল সন্ত্রাসীরা রাতারাতি বনে যান বিএনপি নেতা। এখন সেই পরিচয়েই আগের মত পুরো এলাকায় বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ সন্ত্রাসীরা।

 


জানাগছে, গত ৫ আগষ্ট স্বপরিবারে শামীম ওসমান পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেকে বিএনপি পরিচয়ে শসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রঘুনাথপুর এলাকায় সংখ্যালঘু মাখন চন্দ্র সরকারের বাড়ীসহ বিভিন্ন বাড়ীতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

 

 

এসময় মাখন চন্দ্র সরকারের বাড়ী থেকে ১৮ ভরি স্বর্ণালোঙ্কার ও নগদ ৪ লাখ টাকা, এসি, টিভি, ফ্রিজ, কোকারিজ সব লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী আব্দুল রহমান বিশ্বাসরা। শুধু তাই নয়, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে আড়াল করার জন্যই ওই ঘটনার পর পরই সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু মাখন চন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মানববন্ধন করে।

 


পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে গত ২২ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাখন চন্দ্র সরকার। এ বিষয়ে মাখন চন্দ্র সরকার বলেন, যারা আমার বাড়ীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। আমাদের সাবেক এমপি শামীম ওসমান সাহেবের ঘনিষ্টজন ছিলো।

 

 

তারা শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে তখনও ত্রাস করে বেড়াতো। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই তারা এখন বিএনপি নেতা হয়ে গেছে। বিএনপি নেতা পরিচয়ে তারা আমার মত নিরিহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর