সংস্কারের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ক্রোড়িবাড়ি টাঁকশাল
যুগের চিন্তা অনলাইন
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রাচীন বাংলার রাজধানীখ্যাত ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের এক সময়ের বিত্ত-বৈভব আর জৌলুসের তুলনা নেই। কালের অতল গহবরে অনেক আগেই এ প্রাচীন নগরীর পতন ঘটেছে। প্রাচীন নগরীর ভগ্ন ইমারতগুলো এখনও পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। সোনারগাঁ প্রাচীন বাংলার রাজধানী থাকাকালীন এক সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে বেশ পরিচিত ছিল।
সমৃদ্ধ এ নগরী ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে ছিল স্বয়ংসম্পুর্ণ। এ নগরীতে ছিল বেশ কয়েকটি মুদ্রার প্রচলনও। প্রচলীত এ মুদ্রাগুলো তৈরি হতো তৎকালীন রাজধানী সোনারগাঁয়ের নিজস্ব টাঁকশালে। সোনারগাঁয়ে এ পর্যন্ত দুটি টাঁকশালের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে মহজমপুর এলাকায় ছিল সুলতানি আমলের টাঁকশালটি। দুটি টাঁকশালের মধ্যে মহজমপুরের টাঁকশালটি ইতিমধ্যে অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে।
মহজমপুরের টাঁকশাল সোনারগাঁয়ের বর্তমান জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুরে ১৬৬০ শতকে সুলতানি শাসনের শেষ দিকে শাহী লঙারের মসজিদ ও এতিমখানা ছিল। এখনো মসজিদটি রয়েছে। ওই আমলেই মহজমপুরে টাঁকশালটি ছিল। শাহী বংশের শাসনামলে ওই টাঁকশালে অনেক মুদ্রা মুদ্রিত হতো। সোনারগাঁয়ে ইলিয়াছ শাহী বংশের শাসন আমল শুরু হয় ১৩৫৩ খ্রিস্টাব্দে। শামসুদ্দিন ইলিয়াছ শাহ ছিলেন এ বংশের প্রথম শাসক। ইলিয়াছ শাহী আমলের অন্যতম শাসক ছিলেন সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ। তার আমলেই সোনারগাঁয়ে স্বাধীন ভাবে নিজস্ব মুদ্রার প্রচলন ঘটে।
আমিনপুরের ক্রোড়িবাড়ী টাঁকশাল সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরের কাছে অপুর্ব স্থাপত্যশৈলীর এক অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে ক্রোড়িবাড়ীর টাঁকশাল। প্রায় চার শতাব্দীর পুরনো টাঁকশালটি এখন পরিত্যক্ত একটি ভবন। গৌড়ীয় দোচালা স্থাপত্য রীতিতে তৈরি এ টাঁকশালটির চারদিকে রয়েছে পাতলা জাফরি ইটের উচু দেয়াল, যা দেখলেই অনুমান করা যায় এ স্থানটি তৎকালীন সময়ে একটি সংরক্ষিত এলাকা ছিল। টাঁকশালটির উত্তরে রয়েছে বিশাল দীঘি। এক সময় দীঘির চারদিকে প্রকান্ড আকারের শান বাঁধানো ঘাট ছিল। বর্তমানে ঘাটের কোন অস্থিত্ব নেই।
তবে দীঘিটি আগের মতোই রয়েছে। স্থানীয়রা আমিন পুরের এ টাঁকশালটিকে ক্রোড়িবাড়ী বলে থাকে। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে পরগনার রাজস্ব অধিকর্তা ও রাজস্ব সংগ্রাহকের পদবি ছিল ক্রোড়ি। তিনি ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে ১৮২ জন ক্রোড়ি নিয়োগ করেছিলেন আর্থিক কাজের জন্য। ধারণা করা হয় , সে থেকেই এ বাড়রি নাম হয় ক্রোড়ি বাড়ী। সুরম্য এ টাঁকশালটির স্থাপত্যকলা বেশ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। মুসলিম এবং হিন্দু স্থাপত্যের অপূর্ব সংমিশ্রণে এ টাঁকশালটি তৈরি করা হয়েছিল। টাকশালের দেয়ালে রয়েছে লতাপাতা সহ নানা ধরনের অলঙ্করণ। রয়েছে ঢেউ খেলানো খিলান, খিলানের মাথায় রয়েছে বাজপাখি ও পদ্ধপাখির খোদাই করা প্রতিকৃতি। ভগ্নপ্রায় ইমারতে রয়েছে অসংখ্য খুপরি ও কুঠরি। ভূগর্ভস্থ কুঠরিগুলোতে সরকারি মুদ্রা ও সোনার মোহর রাখা হতো বলে ধারণা করা হয়।
ঐতিহাসিকদের মতে সম্রাট আকবর ও শেরশাহের আমলে এ ভবনটি ছিল ট্রেজারার হাউজ। সম্রাট শেরশাহের আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছিল। সম্রাট শের শাহের আমলে প্রচলিত মুদ্রাগুলো ক্রোড়িবাড়ী টাঁকশালে মুদ্রিত হতো। ঐতিহাসিক স্বরূপ চন্দ্র রায় সূবর্ণগ্রামের ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন সামসুদ্দিন আবুল মুজাফফর শাহের নামাঙ্কিত মুদ্রা সোনারগাঁয়ে মুদ্রিত হয়েছিল। তাছাড়া ঐতিহাসিক ব্রাডলি বার্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থে রোমান্স অব অ্যান ইস্টান ক্যাপিটালে’ ক্রোড়িবাড়ীর নাম উল্লেখ করেছেন। দুটি টাঁকশালের মধ্যে একটি বিলিন হয়ে গেলেও জরাজীর্ণ ভাবে দাড়িয়ে আছে ক্রোড়িবাড়ী টাকশালটি। এটি সংস্কারে সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। সোনারগাঁয়ের ইতিহাসের সঙ্গে এ টাঁকশালটির ইতিহাসও জড়িয়ে আছে।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান নুর বলেন, সোনারগাঁয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শন দুটি টাঁকশালের মধ্যে একটি অনেক আগেই অযত্নে অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্রোড়িবাড়ি টাঁকশালটি সংস্কার করে ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করা উচিত।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না জানান, প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য টাঁকশালটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুনরায় সংস্কার করে টাঁকশালটি দেখার জন্য পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, সোনারগাঁয়ের পুরাতন ঐতিহ্যের টাঁকশালটিকে সংস্কার করার জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
- আ.লীগের সেক্রেটারি পলাতক, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সভাপতি
- ভূইগড়ে পলিথিন কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
- ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষই নির্যাতনের শিকার : গবেষণা
- সবজির মূল্যে ঊর্ধ্বগতি
- না.গঞ্জে বেড়েছে ছিনতাই
- রূপগঞ্জে সুতা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
- গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী : সেলিম প্রধান
- ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
- ফতুল্লায় শামীম ওসমানসহ ৬৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
- পাগলায় অবাধে চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানা
- আবারো ভর্তি পরীক্ষায় ফিরছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ব্যবসায়ীর লাশ, ধারণা হত্যা
- নাসিক সিইও’র নির্দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীতে ঔষধ স্প্রে
- দুর্ধর্ষ সৈকত রাজ আতঙ্কে কুতুবাইল-কাঠেরপুলবাসী
- নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
- লাশের ১১ টুকরা ফেলে দেয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুম দেন প্রেমিকা রুমা
- খুনের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ
- লিটন-শান্তর নেতৃত্বে বন্দর থানা কৃষকদলের কমিটির অনুমোদন
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- সুসময়ের নৌকা প্রত্যাশীরা পলাতক
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে চায় আজারবাইজান
- না.গঞ্জের সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন গ্রেপ্তার
- রাগে-ক্ষোভে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো করেন প্রেমিকা
- বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
- শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
- শহরের যানজট নিরসনে পাঁচ সংস্থার যৌথ অভিযান ও জরিমানা
- আকাঁশছোঁয়া দামে সবজি, চালে ঊর্ধ্বমুখী
- খানাখন্দে ভরা শিমরাইল-আদমজী সড়ক
- গণদাবির বিরুদ্ধে অনড় বাস মালিকরা!
- ওসমান পরিবারের দোসরদের প্রতিহত করবে যুবদলের নেতাকর্মীরাই
- রাগে-ক্ষোভে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো করেন প্রেমিকা
- গ্রেপ্তার হচ্ছেন পলাতক নেতারা
- দুর্ধর্ষ সৈকত রাজ আতঙ্কে কুতুবাইল-কাঠেরপুলবাসী
- বিতর্ক কর্মকাণ্ডে বিলুপ্তির পথে খোকন
- বিএনপির ব্যাড বুকে তাঁরা
- সুসময়ের নৌকা প্রত্যাশীরা পলাতক
- লাশের ১১ টুকরা ফেলে দেয়ার পর নিশ্চিন্তে ঘুম দেন প্রেমিকা রুমা
- ফতুল্লায় শামীম ওসমানসহ ৬৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
- লিটন-শান্তর নেতৃত্বে বন্দর থানা কৃষকদলের কমিটির অনুমোদন
- না.গঞ্জের সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন গ্রেপ্তার
- ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম
- দুর্ধর্ষ দুই চাঁদাবাজে জিম্মিদশায় বন্দরের লক্ষণখোলা
- গাজীর সন্ত্রাসীরা এখন দিপু ভূঁইয়ার কর্মী : সেলিম প্রধান
- পাঁচ দিনের রিমান্ডে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন
- এক বছরে পাঠ্যবই তিনবার কিনিয়েছেন শিক্ষকরা
- সাবেক হুইপ বাবুর ক্যাডার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন গ্রেফতার
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ব্যবসায়ীর লাশ, ধারণা হত্যা
- নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- শহরের যানজট নিরসনে পাঁচ সংস্থার যৌথ অভিযান ও জরিমানা
- প্রকৃতিতে এখন শীতের আগমনী বার্তা
- বিলুপ্তি হয়ে যেতে পারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার !
- ঢাকায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হলো আজ
- বিবর্ণ শীতলক্ষ্যা, বাড়ছে দূষণের মাত্রা
- বজ্রপাতের সময় করণীয়
- পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন
- পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছরেই মৃত্যু হার বাড়ছে
- ১৭২ বছর পর বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর
- আজ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ
- জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে
- ১০০ বছরের ডেলটা প্ল্যান অনুমোদন
- অবৈধ পাঁচ ইটভাটায় ম্যাজিস্ট্রেট: ১৬ লাখ টাকা জরিমানা (ভিডিও)
- আতশবাজি ও ডিজে পার্টির কারণে বহু প্রাণী হার্ট এট্যাকে মারা যায়
- তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে ফণী
- বাংলাদেশে ষড় ঋতুর অস্তিত্ব অনুভব ভাগ্যের ব্যাপার