রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সকাল ৮টার ডাক্তার আসে ১১টায় ভোগান্তিতে রোগীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

 

সরকারি হাসপাতালে ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। পুরো নগরী জুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অন্যতম। প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে সহস্রধিকের বেশি রোগী আসে সুচিকিৎসার আশায়। কিন্তু চিকিৎসার বদলে ভোগান্তি বেশি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। কেননা ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তার আসার কোনো সময় বাধা নেই।

 

নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী সময়ে তারা হাসপাতালে আসছেন। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা ডাক্তারের অপেক্ষা থাকতে হচ্ছে রোগীদের। জানা যায়, সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার আসার সময় সূচি শুরু হয় সকাল ৮.৩০ থেকে। সরকারি হাসপাতাল বলে ডাক্তারের আসা যাওয়ার কোনো নিয়ম মাফিক রুটিন নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ জনগন।   

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিকেটের দীর্ঘ লাইনে ঘন্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর আবার ডাক্তার রুমের সামনে গিয়ে ডাক্তার আসার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় রোগীদের। বেলা ১০.০০ থেকে ১০.৫০ বাজলেও ডাক্তার শূণ্য থাকে কয়েকটি রুম। চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে জানান, বাড়ির আশেপাশে সরকারি হাসপাতালটি থাকার কারণে এবং নিজের সুবিধার্থে আমরা এখানেই ডাক্তার দেখাতে আসি। এখানে আসি রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কিন্তু আরো রোগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।

 

এমনিতে তো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় টিকেটের জন্য। তার উপরে আবার ডাক্তারের জন্যও অপেক্ষা করতে হয়। সরকারি হাসপাতাল বলে কোনো নিয়ম নেই। ডাক্তাদের যার যেমন সময়ে ইচ্ছে হচ্ছে আসছে আবার যেমন ইচ্ছে চলে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমানের তদারকি নেই বলেই সরকারি হাসপাতালে এসব সম্ভব। এছাড়া এই হাসপাতালে ডাক্তারদের তুলনায় তাদের সহকারীদের ক্ষমতা বেশি। এতো বাজে ব্যবহার তাদের।

 

চিকিৎসা নিতে আসা হাবিব নামে এক রোগী বলেন, ৯.৩০ মিনিটে ডাক্তারের রুমের সামনে এসে বসে আছি। ভেবেছি আমারই হয়তো দেরি হয়ে গেছে কিন্তু এসে দেখলাম ডাক্তারই আসে নাই। ১০.৪০ এ ডাক্তার ম্যাডাম আসে কিন্তু আবার ৫মিনিট পর বের হয়ে যাওয়া আমি ডাক্তারের সহকারিকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন যে ডাক্তার আপা নাকি তার বাড়ির চাবি ভুলে ফেলে আসছেন এ কারণে সে আবার বাড়িতে গেছেন। আসছে বেলা ১১টার সময় আবার বাড়িতে গেলে সে কখন আসবে আর রোগী কখন দেখবে। এটা কী কোনো সরকারি হাসপাতালের নিয়ম হতে পারে।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবুল বাশার যুগের চিন্তাকে বলেন, হ্যাঁ এটা সত্য যে সবাই প্রতিদিন সময় মতো হাসপাতালে আসে না। এটা ঠিক নয়। তাদেরকে আমি বলেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজকে হাসপাতাল ভিজিটে এসে সব ডাক্তারদের পোশাক পরে সময়মতো হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে বলে গেছেন। এস.এ/জেসি   
 

এই বিভাগের আরো খবর