বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সবজির মূল্যে ঊর্ধ্বগতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৪  

 

বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে।  নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজার গুলোতে সবজির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে নিম্ন আয়ের মানুষ সহ সর্ব শ্রেণির মানুষের মাঝে বেড়েছে ভোগান্তি। বাজারে সবজির দাম বাড়ার কারণে প্রতিনিয়তই বাজারে এসে হিমশিম খেতে হয় মানুষদের। ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থি দেখা দিয়েছে।

 

 

বাজারে সংশ্লিষ্ট সাথে কথা বলে জানা যায়, সবজির বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এই অস্থিরতা। মাঝে দিয়ে গত ১ সপ্তাহ দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার সবজির বাজার চড়া বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে বাজারে একই পন্য এক এক দোকানে এক এক দাম লক্ষ্য করা যায়। বাজারে প্রায় সব ধরণের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।

 


প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ টাকা, বেগুন ৮০থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ টাকা, পেয়াজ ১১৫টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০ টাকা, নতুন কাঁচা পেয়াজ (গাছ সহ) ১০০ টাকা কেজি, ঢেরশ ৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা, কাঁচা পেপে ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে বেড়ে ২৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া সরিষার তেল প্রতিটি কেজি ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন মাছ, মাংস, মুরগী সহ চাউলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

 


বাজারেই সবজির দোকান সাইদুর রহমানের তিনি বলেন, এই সময়ে শাক সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও সরবরাহ কম এবং আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

 


তার কথার তালে অপর দোকানদার চাঁন মিয়া বলেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করা লাগে। তিনি আরও বলেন এ ছাড়া পরিবহন ব্যায় বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 


বাজার করতে আসা আব্দুল্লাহ ও রিক্সা চালক সারোয়র হোসেন বলেন, আমাদের আয় কম। এই কারণে প্রতিদিনই বাজার করতে হয়। তার বাজারে আসলে কোনটার দাম বাছছে আর কোনটার দাম কমছে তা বুঝতেই পারে। সে দিক দিয়ে আমার মতামত সবকিছুর দাম আগেও বাড়তি ছিলো এখনও বাড়তি। মাঝে দিয়ে কোনো দাম কমে নাই। এটা শুধু মাত্র ব্যবসায়ীরা চারপাশে গুজব ছড়িয়েছে। এদিকে শাক- সবজি, চাউল, মাছ, মাংসের দাম নিত্যদিনই বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর