বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

সহকর্মীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি সবসময়ই : এড. জুয়েল

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৮   আপডেট: ১২ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। ঈদে পরিবারের জন্য কেনাকেটায় তেমন এক্সপার্ট না বলে এ ডিপার্টমেন্টটির দায়িত্ব সামলান তাঁর স্ত্রী। এবার ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে যাবেন বলে স্থির করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যুগের চিন্তা ২৪’কে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, ঈদের দিন সকালে আমাদের গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁয়ে নামায আদায় করতে যাবো। নামায শেষে বাবার কবর জিয়ারত করবো।

 

এরপর সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসবো। এখন তো বড় হয়ে গিয়েছি। তাই ঈদের সালামী বা ঈদী কেউ দেয় না। এখন আমাদেরকে ঈদে ছোটদেরকে সালামী দিতে হয়। ঈদের দিন ভূনা খিচুড়ির সাথে গরুর গোস্ত খেতে বেশি ভালো লাগে। এছাড়া লাচ্ছা সেমাই আমার খুবই পছন্দ। ঈদে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। আত্মীয় স্বজনরা বাসায় আসবে। মেহমানরা আসবে। ব্যস্ত সময় কাটবে। সহকর্মীদের সাথে ঈদের আনন্দটি ভাগাভাগি করি সবসময়ই। সন্ধ্যায় আমরা সহকর্মীরা সবাই একসাথে হয়ে আড্ডা দেই। পরিবারের সাথেই সবসময় ঈদ উদযাপন করি। ঈদের পরদিন ঢাকায় গিয়ে মিডিয়ায় আমার সহকর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও আড্ডা দেই। আগের ঈদ উদযাপন আর এখনকার উদযাপনের মধ্যে অনেক তফাৎ বলে মনে করেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। তিনি বলেন, বয়সের সাথে সাথে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়ে যায়। একেক বয়সে ঈদের মজাটা একেক রকম। আমি চাইলেও এখন দশ পনেরো বছর বয়সীদের মতো ঈদ উদযাপন করতে পারবো না। ফুটবলে বিশ্বকাপে জার্মানীর সমর্থক অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইটালির সমর্থক। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে তার দল সুযোগ পায় নি। আমার ছেলেও জার্মানীর সমর্থক। বাপ- বেটা দুজনেই জার্মানীর ফ্যান। তাই বাসায় ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে কোন ধরণের দলাদলি হয় না। ঈদের মজার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, ছোটবেলায় গ্রামে বাবার সাথে ঈদের নামায পড়তে যেতাম একত্রে। দাদা-চাচারা সহ ঈদ উদযাপনের মজাই আলাদা। এখন অবশ্য তেমনটা হয় না। ঈদুল ফিতরের এই আনন্দে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মীসহ সকল শুভানুধ্যায়ীদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর