বৃহস্পতিবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১

সাইনবোর্ড দখলে নিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষের আশঙ্কা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪  

সাইনবোর্ডের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভূঁইঘর, রূপায়ন, মাহমুদপুর, শান্তিধারাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি গ্রুপ। যারা প্রথমে সাইনবোর্ড এলাকায় বিভিন্ন সংগঠন তৈরির মাধ্যমে হকার্স মার্কেটে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে, বাস কাউন্টার, সিএনজি স্ট্যান্ড, ফুটপাতের দোকানে চাঁদাবাজি, অটো চাঁদাবাজিসহ সব স্থানে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, জেলা পরিবহন শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাকিম মোহাম্মদ রাজিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মোল্লাসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রুপ। গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার পর থেকেই সাইনবোর্ড থেকে পুরো সাইডে দখলে নিতে মরিয়া এই গ্রুপটি। যাকে ঘিরে গত (৬ ডিসেম্বর) কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এদিকে শীঘ্রই আবারো সাইনবোর্ড এলাকায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের আশঙ্কা পাওয়া যাচ্ছে।


এদিকে সূত্র জানিয়েছে, যুবদল নেতা মামুনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ফতুল্লা মডেল থানায় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি, লুটপাট ও দখলবাজি অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সাইনবোর্ড এলাকার ভূমিদস্য খ্যাত আওয়ামী নেতা রাজ্জাক বেপারীর আধিপত্য নিতে তার পালিত সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন এবং দোকানপাট দখল করে চাঁদাবাজির মহোৎসব পরিণত করেছেন। তা ছাড়া সাইবোর্ড, ভূইঘরসহ এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে সব কিছু দখলে নিতে মরিয়া গ্রুপগুলো। 

 

এদিকে জেলা পরিবহন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক রাজীবের বিরুদ্ধে সাইবোর্ড এলাকার ফুটপাত দখল করে সেখানে থাকা ১০০ এর অধিক দোকান থেকে নিয়মিত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ রয়েছে।  তাছাড়া সেখানে থাকা দূরপাল্লার ১৫টি বাস কাউন্টার রয়েছে এর থেকে ও ক্ষমতার জোর দেখিয়ে দৈনিক হারে ২০০/৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন আর যদি কেউ দিতে অশিকার করে তাহলে তাকে ব্যাপক নির্যাতন করেন এই রাজিব ও তার বাহিনী। তা ছাড়া বর্তমানে নতুন করে আবারো চাঁদাবাজি আরো শক্তিশালী করতে ট্রেড ইউনিয়ন নামে একটি চাঁদাবাজি সংগঠন তৈরির পায়তারা করছে। যা হলে প্রতিটি বাস প্রতি ১০০ টাকা করে নেওয়া হতে পারে। তা ছাড়া ও সাইনবোর্ড টু চাষাড়া, সাইনবোর্ড টু মোক্তারপুর, সাইনবোর্ড টু ঢাকা এই তিন সাইড মিলিয়ে প্রায় ৫০০ এর অধিক সিএনজি চালিত হয় যা-যেখান থেকে টিম প্রতি ৩০ টাকা তোলা হয়। তা ছাড়া বিগত দিন থেকেই প্রথা চালু রয়েছে যে সাইনবোর্ডের নিয়ন্ত্রণ যার দখলে ভূঁইঘর, রূপায়ন, মাহমুদপুর, শান্তিধারাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা তাদের দখলে। যাকে ঘিরে বর্তমানে এই নব্য বিএনপি নেতাদের তাপে ভুইগড় তথা সাইনবোর্ড এলাকায় যারা প্রকৃত বিএনপির রাজনীতিতে সাথে জড়িত তারা এরকম কর্মকান্ডে হতভম্ব হয়ে পড়েছে। এদিকে গত ৬ই ডিসেম্বর বিকেলে মামুনের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাইনবোর্ড হর্কাস মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় আরেক পক্ষ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মোল্লার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষের জের ধরে বর্তমানে তিন গ্রুপই চাইছেন পুরো সাইনবোর্ড এলাকার নিয়ন্ত্রণ যা নিয়ে বর্তমানে চলছে নানা মহড়া যে কোন সময় হতে পরে বিশাল আকারের সংঘর্ষ।

এই বিভাগের আরো খবর