শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৭ ১৪৩১

সাইফুল্লাহ বাদল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

কথার কথা নয়, মনোযোগ সহকারে খেয়াল করবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন। ২০০১ এর জাতীয় নির্বাচনে পরাজয় বরণ করার পর বিএনপি, ঐক্যজোট জামাত শিবির এর লোকেরা-খালেদা জিয়ার লংমার্চসহ গোলাম আজমের নারায়ণগঞ্জ ঢোকার নিষিদ্ধ ঘোষণা, বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের নায়ক মনে করে বিএনপি ঐক্যজোট আমাদের চিন্তা ধারায় শামীম ওসমানকে কোনভাবেই বাঁচতে দিত না। কিম্বা বাঁচিয়ে রাখতো না। হাজার হাজার শত্রু জননেত্রী শেখ হাসিনা, শামীম ভাইকে ছোট ভাই এর মতো স্নেহ করতেন, এখনও করেন, ওনার মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত করবেন। নেত্রী আদেশ দিলেন শামীম দেরি করিসনা বিদেশ চলে যা। 

 

শামীমের অবর্তমানে, ফতুল্লা থানাকে সাইফুল্লা বাদল, শওকত আলী, ওয়ালী মাহমুদগংরা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগকে মডেল থানা রূপে বাকী ৬ টি থানার মধ্যে মিছিল, মিটিং, সভা সমিতিতে এমনকি প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শামীমের অনুপস্থিতি বুঝতে দেয় নাই। শামীমকে উৎসাহ-উদ্দিপনা জুগিয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ। শামীমও ভুলে থাকেনি প্রতিটি, নেতাকর্মীকে। 

 

একজন বলেছিল, ‘তুমি ভাই কেন কাঁদছো’? লোকটি উত্তরে বলেছিল, ‘আমি কাঁদছি না, আমার সুরতই এই রকম।’ আজকে যারা বাদলের বিরুদ্ধে পত্রিকাতে দু কথা লিখছেন, তারা ভাবেন, অসুস্থ শরীর নিয়ে এমন কোন বিচার দলীয় কার্যকলাপ থেকে সাইফুল্লাহ বাদল সরে দাঁড়িয়েছেন, অন্য লোকদের কথা বলুন, লুৎফর রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমার কথা কেন বলেন না, শিক্ষিত এম.এ পাশ মুত্তিযোদ্ধা এমন কোন মায়ের ছেলে আছে, এমন কোন লোক আছে, যে নাকি বলতে পারবে ওয়ালী মাহমুদ খান জুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর, ডাকাত, বদমাশ! 

 

তবে আমার কথা কেন নয়, শুনতে সোনারগাঁ গেলে দেখবেন মাটি আর মাটি। ভাই সকল, উপযুক্ত হউন আপনি নিজেও কিছু একটা হতে পারবেন। কাউকে সমর্থনও করতে পারবেন। মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি শিখুন। আমরা ছাত্র রাজনীতি থেকে এসেছি। শামীম আমার মতোই। ভুল ব্যাখ্যা দিবেন না।

 

শওকত এবং বাদল পাঁচটি বৎসর নেতাকর্মীকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। আপনার ও আপনাদের অবগতির জন্য যারা বাদল, শামীমের বিরুদ্ধে লিখে থাকেন এবং লিখছেন-তাঁরা জেনে রাখুন। ২০০৮ এর নির্বাচনে, অভিনেত্রী কবরী কোন দিনও এমপি হতে পারতো না। শামীম নামের টিকেট বিক্রি করে কবরীকে পাশ করিয়েছি। 

 

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ শামীমের চাচী হিসাবে, সেলিম ওসমানের উইজডম এ্যাটায়ার্সে সেলিম ওসমান সাহেবের একটি উক্তিই যথেষ্ঠ ছিল। আপনারা থানা আওয়ামীলীগ আমার মায়ের জন্য খাটবেন। সেই কবরী মা, ফতুল্লা থানাকে উপযুক্ত উপহার দিয়েছেন। আমি ওয়ালী মাহমুদ খান তাদের পালিত সন্ত্রাসী। যারা বাদলের নামে কাঁদা ছুড়োছুড়ি করছেন, সাবধান সেই কাঁদা যেন আপনারদের সাদা জামায় না লাগে।  

 

শামীমের নামে লিখেন, শামীম নাকি খালি মাঠে গোল করেন। ভাইজানেরা, মাঠে না পারেন গোলপোস্টে ভালো গোল কিপার রাখুন। আমার বড়ই জানতে ইচ্ছে করে, আমার আমার বিশিষ্ট বন্ধু মরহুম আল-মামুন সারোয়ার (ননী) তার পিতা মরহুম খান সাহেব ওসমান আলী, সুযোগ্য পিতা ভাষা সৈনিক, সাবেক ৫ নং আসনের সফল সাংসদ একেএম সামসুজ্জোহা, সামসুজ্জোহা সাহেবের বড় ছেলে মরহুম একেএম নাসিম ওসমান, বর্তমানে ২০১৯ এর ৫ নং আসন ৪ নং আসনের সংসদ যথাক্রমে সেলিম ওসমান এবং একেএম শামীম ওসমান, পর্যায়ক্রমে উল্লেখিত নামের লোকেরা কি নারায়ণগঞ্জ এবং ফতুল্লা ৪ নং আসনের জন্য একটিও ভালো কাজ করেন নাই। 

 

আপনারা যারা বাদলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন বাদল এবং শওকত একেএম শামীম ওসমানের আস্থাভাজন এবং কাছের লোক। চেনা বামনের পৈতা লাগে না, তিলতিল করে-১৩ টি বৎসর যাবত ফতুল্লা থানাকে বিশ্বস্ততার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছেন। বাদল, শওকত ১০ লাখ লোক জমায়েত করে বিদেশ ফেরত একেএম শামীম ওসমানকে অভ্যর্থনা জানিয়ে দেখিয়েছিল। বড় বড় কথা না বলে বিরুদ্ধে কথা না লিখে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করুন। শান্তি পাবেন, নামাজ পড়েন, গিবত খাওয়া ছেড়ে দিন।

 

ওয়ালী মাহমুদ খান 

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ

এই বিভাগের আরো খবর