রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন কারাগারে

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৪  

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১২ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আত্মসমর্পণ করেন। একইসঙ্গে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার চার্জশিট উপস্থাপনের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য রয়েছে।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই করে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে গিয়াস উদ্দিনের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। তবে এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময় সঞ্চয় হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, ঘর সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, পিতার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার দালান, চার লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে।

তবে গিয়াস উদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী, কাসসাফ শপিং সেন্টার ০১ নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২০২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।

এই বিভাগের আরো খবর