শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সালাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে ঝুট সেক্টর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৪  

 
# যুবদলের সদস্য সচিব পদকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন তিনি

 

গত আওয়ামী লীগের ট্রাম্পে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওসমানী সম্রাজ্যের দোসররা নারায়ণগঞ্জকে যেভাবে জিম্মি রেখেছিলেন এমনকি  প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে বিগত ১৬ বছর যেভাবে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেছেন তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি সরকার পতনের পরেও। গত ৫ আগষ্ট সাবেক স্বৈরাচারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে ক্ষমতাচুত্য হয়ে পরে আওয়ামী লীগ সেই সুবাদে সভা নেত্রীর পাশাপাশি পালিয়ে যায় সাবেক সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান সহ বাকি এমপি-মন্ত্রীরা। 

 

একই সাথে তাদের সিন্ডিকেট করা দোসররা অনেকেই পটপরিবর্তনের পর পালিয়ে যায় আবার অনেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ছায়াস্থলে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার থানার আওতাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নে লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় বিএনপির কিছু মূল নেতাকর্মীদের ছায়াতলে নতুন সাম্রাজ্যে খুলে বসেছেন বিএনপির অঙ্গসংগঠন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ায় এই সালাউদ্দিন বর্তমানে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে। হিংস্র রূপ ধারণ করেছে। এদিকে কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকায় থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, ওয়েস্টিজ ও ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদূস্যতা, গ্যাস সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সবই নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি কিন্তু এখানে নেই তার কোন নাম। 

 

নিজে ক্লিন ইমেজ বজায় রেখে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অন্যতম বাহিনী শাহ নিজামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী চুন্নু বাহিনী, মিঠুন বাহিনী, বিল্লাল বাহিনী, খোকন, চুন্নুর ভাই মোজাফফর, হানিফ, রিপন, নূর আলম, গোলাম রহমান, আবির, হাসমত আলী এদের মাধ্যমেই সকল প্রকারের অপকর্ম করাচ্ছেন ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন। এছাড়া শিবু মার্কেট থেকে পিঠালীপুল এলাকা তিনি প্রকাশ্যে থেকে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস.কে শাহিনকে নিয়ে সেখানে থাকা ঝুট সেক্টর থেকে সবই নিয়ন্ত্রণ করছেন এরা।  বতর্মানে এই সালাউদ্দিন দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সাইডে রেখে আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।

 


সূত্র বলছে, গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করলেই গর্ত থেকে বেড়িয়ে এলাকায় বড় নেতা হয়ে পরেন এই সালাউদ্দিন। তখন থেকেই তিনি তার নেতাকর্মীদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে বহু অপকর্ম পরিচালনা করাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সর্বক্ষেত্রেই সেখানকার শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নু বাহিনীর অভয়ারণ্য দেখতে পেলে তিনি সর্বক্ষেত্রেই চুন্নুসহ মিঠুন, বিল্লাল বাহিনীকে সেখানকার অপকর্ম পরিচালনায় শাহ-নিজামের মতো শেল্টার দেওয়া শুরু করেন। জড়িয়ে পরেন বিভিন্ন অপকর্মে। তার বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবরে বেড়িয়ে আসে বহু অপকর্ম। 

 

 

এদের মাধ্যমে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের রোস গার্ডেন গার্মেন্টস থেকে শুরু করে নয়ামাটি ইউরোটেক্স ও মাহমুদা গার্মেন্টস পর্যন্ত এ ছাড়া এর মাঝে থাকা প্রায় ৫০/৬০টির অধিক ছোট ও মাঝারী সাইজের হোসীয়ারি সবই আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসীদের বাহিনীর দখলে। আর সেখান থেকে ৬০% ভাগ পেয়ে থাকে এই যুবদল নেতা সালাউদ্দিন। এছাড়া শুধু এতেই ক্ষ্যন্ত নন তিনি। লামাপাড়া নয়ামাটি জুড়ে মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি, ছিনতাই, ব্লাকমেইলিংসহ সব রকমের লোমহর্ষক অপরাধ ফতুল্লার লামপাড়া নয়ামাটি এলাকা জুড়ে এই চুন্নু, মিঠুন, বিল্লাল বাহিনীর এদিকে এর বাহিরে আরো অপকর্মের সাথে ছিলেন খোকন, চুন্নুর ভাই মোজাফফর, হানিফ, রিপন, নূর আলম, গোলাম রহমান, আবির, হাসমত আলী এদের মাধ্যমে কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকাকে আবারো অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবেই রেখেছেন এই সালাউদ্দিন। 

 

এ ছাড়া শিবু মার্কেট থেকে পিঠালীপুল পর্যন্ত রেডিকেল গার্মেন্টস, আমেনা ডাইং, পেট্রোয়েট, ওসমান এবং সাকোরা সবই দখলে রেখেছেন এই থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস.কে শাহিন। সব দিক মিলিয়ে বোঝা যাচেছ ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিবের পদকে তিনি ব্যবসায় পরিণত করেছেন এই সালাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে এক্যাশন নিতে বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীবৃন্দ।

 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পরে ফোন দিচ্ছি বলে ফোনটি কেটে দেন। 

এই বিভাগের আরো খবর