মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ১ ১৪৩১

সুব্রত-সানি সাহার সম্পদ অনুসন্ধানের দাবি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

 

 

অবৈধভাবে বন্ড সুতার বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়শনের সভাপতি লিটন সাহার অন্যতম সহযোগী  সানি সাহা, সুব্রত সাহা, বিপুল মন্ডল ও তুষার চৌধুরীর সম্পদ অনুসন্ধানের  জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এম.এম ট্রেডার্সের মালিক সানি সাহা কোটি কোটি টাকার সুতা চোরাইপথে নারায়ণগঞ্জে আনা-নেওয়া করতেন। অবৈধ ব্যবসার এই সিন্ডিকেট হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। 

 

এবং তার অন্যতম সহযোগী সুব্রত সাহা। সানি-সুব্রতের চোরাইপথে আনা বন্ড সুতার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা থেকে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। লিটন সাহার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এই সিন্ডিকেটের এই অবৈধ ব্যবসার বিরাট অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার। তাই অনতিবিলম্বে এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের প্রতি আহবান জানিয়েনে ব্যবসায়ীরা। সানি সাহা, সুব্রত সাহার এসবকিছুর ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অতিদ্রুত খোঁজ নেয়ার দাবি জানিয়ছেন ব্যবসায়ীরা। 

 

সানি সাহা তার অবৈধ ব্যবসা প্রসারের জন্য প্রথমে  ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ একেএম নাসিম ওসমানের মেয়ে আফরিন ওসমানের স্বামী ঢাকা মহানগর জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন। দেশের বাহিরে বা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চোরাইপথে এলসির কালোবাজারী বন্ডের সুতা নারায়ণগঞ্জে এনে বিক্রি করতেন সানি সাহা। আর এই সকল চোরাইপথে সুতা নারায়ণগঞ্জে আনতে সানি সাহাকে কেয়ারিং করতেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম।

 

 চোরাইপথে আনা-নেওয়া সকল বন্ডের সুতা পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করতেন ইফতেখারুল ইসলাম। আর এই সকল মালামালের বিক্রির লাভ দুই জনে সমান ভাগে ভাগ করতেন। এছাড়াও সানি সাহার সাথে এই সকল চোরাই বন্ডের সুতার ব্যবসা করতে বিপুল মন্ডল, সুব্রত সাহা ও শ্রীভাষ সাহা। তারা ছিলেন সানি সাহার ব্যবসায়ীক পার্টনার। বোন জামাতার সাথে কালোবাজারী পার্টনাল থাকায় সানি সাহার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো আজমেরী ওসমান ও তাদের পরিবারের সকলের। যেই কোন জায়গা-জমি দখল, ব্যবসায়ী লেনদেন, হুমকি সহ সকল অপকর্ম আজমেরী ওসমানকে দিয়ে করাতেন সানি সাহা। এছাড়াও প্রতি মাসে সানি সাহার মাধ্যমে টানবাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আজমেরী ওসমান।


এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, টানবাজার সুতা ব্যবসা ধ্বংসের পথে রয়েছে সানি সাহা ও লিটন সাহা। তারা দুই জন শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান ও আজমেরী ওসমানের নামে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা চাঁদা নিতেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের দিয়ে হুমকি দিতেন। গত ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পরই এলসির কালোবাজারী সেন্টিকেটের হোতা লিটন সাহা পালিয়ে যায়, তার সাথে কয়েক দিন গা ডাকা দিয়ে ছিলেন সানি সাহা। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আবারও টানবাজার এলাকায় আবার আগের মতো এলসির কালোবাজারী বন্ডের সুতার ব্যবসা করছেন সানি সাহা। আমরা চাই এই সকল কালোবাজারী ব্যবসায়ী যাতে টানবাজার এলাকায় না থাকে। আমরা আগের মতো আমাদের সেই ঐতিহ্যবাহী জমজমাট টানবাজারের সুতার ব্যবসা গড়তে চাই।

এই বিভাগের আরো খবর