বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সেন্টুতে বদলে যাচ্ছে কুতুবপুর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু

চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু


# চেয়ারম্যান সেন্টুর তৎপরতায় মাদক ব্যবসায়ীরা বেকায়দায়


নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ফতুল্লা থানার অর্ন্তভূক্ত কুতুবপুর একটি অন্যতম ইউনিয়ন। আর এই ইউনিয়নটিতে জনসংখ্যার দিক দিয়ে অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো থেকে অনেক বেশি। এই কুতুবপুর ইউনিয়নটি ঢাকা জেলার খুব নিকটে একেবারে বর্ডার সাইড এলাকা এবং এই এলাকাটিতে প্রচুর পরিমানে গার্মেন্টস,মেইল ফেক্টরী শিল্প কারখানা রয়েছে যার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে এসে এই এলাকায় স্থান নেয়।

 

 

আর এই সুযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা  সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা  স্থানীয় নেতাদের হাত করে দীর্ঘদিন যাবৎ কুতুবপুরকে অন্ধকারের মধ্যে ডেলে দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসবাহিনী। আর যাদের কাছে জিম্মি পুরো কুতুবপুরের সাধারন মানুষ এই সকল সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই এই এলাকার মানুষ।

 

 

বিভিন্ন সময় এই এলাকর মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে এবং সেই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু।  তবে রাজনৈতিক সমস্যার কারনে অনেক সন্ত্রাসীরা তাকেও তোয়াক্কা না করে চালিয়ে গেছে অপকর্ম।

 

 

তবে এবার তিনি সকল মাদক ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে কঠোর ভাবে নেমেছেন আর এবং তিনি সিন্ধান্তও নিয়েছেন সে কোন দলের হোক সেটি দেখার বিষয় না । এই কুতুবপুরের মানুষকে মাদক ব্যবসায়ী ,সন্ত্রাস ,চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিজেই মাঠে নেমেছেন যতদিন না এই কুতুবপুরকে একটা ক্লিন কুতুবপুর না হয়।

 

 

তবে সমোলচনায় থাকা সেন্টুই এখন কুতুবপুর ইউনিয়নের মানুষের আর্শিবাদ হয়ে দাড়িয়েছে। আর চেয়ারম্যান সেন্টুর নির্দেশনায় পুরো কুতুবপুরে যতগুলো পঞ্চায়েত আছে সেগুলো সবাই একত্র হয়েছে । এলাকায় কোন ধরনের অপকর্ম আর তারা সহ্য করবে না।জানা যায়, সেন্টু একসময় ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং সর্বশেষ কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।

 

 

তাকে দল থেকে দুই বার বহিস্কার করা হয়েছে সর্বশেষ ২০১৮ সালে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত থেকে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার কারনে তাকে দল থেকে তাকে স্থায়ী  বহিস্কার করা হয়।

 

 

২০২১ সালের ১১ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সদস্য হওয়ায় পর নৌকার মনোনয়ন পান এবং তার বিপক্ষে কোন প্রার্থী না থাকার কারনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারচারবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিন তিনবার সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কুতুবপুরের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।

 

 

তবে চেয়ারম্যান সেন্টু এখন কুতুবপুরে জনতার চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে । তিনি নিজে কোন দলের হয়ে নয় দলমত নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর তার এই ভালো কাজ অনেক মাদক,সন্ত্রাসের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর